রাষ্ট্রীয়ভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে : মির্জা আব্বাস
গত ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জ্বালানি তেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ মিছিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের গুলি, পরে নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা, এবং ভোলা ও নারায়নগঞ্জে বিএনপির তিন নেতা-কর্মীকে পুলিশের গুলিতে নিহত করার ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘এই অবৈধ সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে। রাষ্ট্রের নির্দেশে, রাষ্ট্রের প্রধানের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় এসব হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। এভাবে বাধা দিয়ে, গুলি করে হত্যা করে কখনোই কোনো দল ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নাই।’ সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জ্বালানি তেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ মিছিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের গুলি, পরে নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা, এবং ভোলা ও নারায়নগঞ্জে বিএনপির তিন নেতা-কর্মীকে পুলিশের গুলিতে নিহত করার ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। পাকুন্দিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মির্জা আব্বাস বলেন, পাকুন্দিয়ায় সংঘটিত ঘটনা একটি অভাবনীয় নারকীয় ঘটনা। সরকারি দলের মাস্তান ও পুলিশের আতঙ্কে বর্তমানে পাকুন্দিয়ায় সাধারণ মানুষ এখন বাড়িঘরে নেয়। আওয়ামী লীগের কিছু কসাই ছাড়া কোনো লোক নেয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা এতটাই আতঙ্কিত যে, বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে থাকায় জনশুন্য হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘নারায়নগঞ্জে যে গুলি দিয়ে শাওনকে হত্যা করা হয়েছে, তা চাইনিজ রাইফেলের গুলি। চাইনিজ রাইফেল একটি যুদ্ধাস্ত্র, এটা সাধারণ পুলিশের ব্যবহার করার কথা নয়। এসব অস্ত্র যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়, সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘জ্বালানী তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা অনেক কর্মসূচি পালনের পরও সরকারের টনক নড়ে নাই, সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নাই। সরকার দাম বাড়িয়েই চলেছে।’ মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারের মেয়াদ বেশি দিন নাই। এই সরকার টিকে থাকতে পারবে না। গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের অচিরেই পতন ঘটানো হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘লাশ অনেক ফেলেছেন। দরকার হলে আমরাও লাশ হব, কিন্তু এবার আর তাদের পাতানো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না, আমরা হতে দিব না।’ পরে ঢাকায় ফেরার পথে মির্জা আব্বাস, আব্দুস সালাম ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ পাকুন্দিয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত কয়েকজন নেতা-কর্মীর বাড়িতে যান ও তাদের খোঁজ-খবর নেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews