রমজানের শিক্ষা নিয়ে খাবারে ভেজাল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন

বক্তারা বলেন, খাদ্যে ভেজাল জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখতে হবে। যারা ভেজাল দেয় তারা দেশ ও জাতির শত্রু। নিরাপদ খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু খাদ্যে ভেজাল করে তারা মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করছে।

রমজানের শিক্ষা নিয়ে খাবারে ভেজাল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন
ভেজালমুক্ত খাবারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে এনএফএস

দিনকাল রিপোর্ট: খাবারে যারা ভেজাল দেয়, তাদের জাতীয় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি (এনএফএস)। আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এই দাবি করেন সংগঠনের নেতারা।‘পবিত্র রমজান মাসে ভেজালমুক্ত খাদ্য চাই’ শিরোনামে মানববন্ধন হয়।

বক্তারা বলেন, খাদ্যে ভেজাল জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখতে হবে। যারা ভেজাল দেয় তারা দেশ ও জাতির শত্রু। নিরাপদ খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু খাদ্যে ভেজাল করে তারা মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করছে। ভেজাল খাদ্য দিয়ে বীরের জাতিকে রুগ্ন জাতিতে পরিণত করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এসব খাবার খেয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। পবিত্র রমজান মাস, সিয়াম সাধনার মাস। আমরা আশা করবো রমজানে ব্যবসায়ীরা খাদ্যে ভেজাল দেওয়া থেকে বিরত থাকবে।

এসময় সংগঠনের সভাপতি রাহাত হুসাইন বলেন, ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত হোটেল-রেস্টুরেন্ট বা নামিদামি ব্রান্ডের পণ্যও এখন ভেজালমুক্ত নয়। ভেজাল খাদ্য খাওয়ার ফলে দেশে হেপাটাইটিস, কিডনি, লিভার ও ফুসফুস সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ভেজাল প্রতিরোধে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে।

খাদ্যে ভেজালকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এদের কোনো প্রকার ছাড় না দিতে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করছি। ভেজালকারীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে। ভেজালকারীদের মূলোৎপাটনে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন হতে হবে। জনগণ যদি সচেতন হয়, তাহলে কেউ ভেজাল দিতে পারবে না। পবিত্র রমজান মাসের শিক্ষা নিয়ে ব্যবসায়ীরা খাদ্যে ভেজাল দেওয়া থেকে বিরত থাকুক, এটাই আমাদের কাম্য।

সংগঠনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তিকে ভেজালবিরোধী আন্দোলনে নামতে হবে। জনস্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলা প্রদর্শনের কোনো অবকাশ নেই। খাদ্যে ভেজালকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শুধু জরিমানা করলে হবে না, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ভেজাল দেওয়া এবং ভেজাল খাদ্য বিক্রির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা প্রয়োগের কোনো নজির নেই।

এনএফএস’র সভাপতি রাহাত হুসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসাইনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সহ-সভাপতি পাভেল হাসান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিক ভিস্তী, ইসমাইল হোসেন টিটু, কোষাধ্যক্ষ সাইফ আহমেদ সানি, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব আলম, বন ও পরিবেশ সম্পাদক কাজী সাকিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক খ.ম আল আমিনসহ অন্যরা।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom