মরদেহ ভেসে উঠলে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হবে: ফায়ার সার্ভিস

বুড়িগঙ্গায় ওয়াটার বাসডুবি

মরদেহ ভেসে উঠলে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হবে: ফায়ার সার্ভিস

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীসহ ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’। এর আগে সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ওয়াটার বাসটি পোস্তগোলা ব্রিজের দিকে নিয়ে আসা হয়। এরই মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শেষ হয়েছে। তবে নতুন করে কোনো মরদেহ ভেসে উঠলে বা এরকম খবর পেলে উদ্ধার তৎপরতা চালাবে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলসহ নৌ টহল বিদ্যমান থাকবে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, কোনো মরদেহ ভেসে উঠলে বা ভেসে ওঠার তথ্য পেলে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হবে।

তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীসহ ওয়াটার বাস ডুবে যাওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন তরুণ ও দুজন পুরুষ। এছাড়া জীবিত পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটিও পানি থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী টাগবোট অগ্রদূত গতকাল রোববার দিনগত রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ যাত্রা শুরু করে। কিন্তু পোস্তগোলা ব্রিজের জন্য জাহাজটি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। পরে অগ্রদূত টাগবোটটি ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি টেনে পোস্তগোলার পাশে হাসনাবাদ এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর আজ উদ্ধাকারী জাহাজ রুস্তম কর্তৃক ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি পানি থেকে উত্তোলন করে। তবে এসময় আর কোনো হতাহতের সন্ধান মেলেনি।

এর আগে রোববার রাতে ওয়াটার বাসডুবির পর প্রায় ছয় ঘণ্টা উদ্ধার কার্যক্রম চলানো হয়। পরে রাত ২টা ৪০ মিনিটে উদ্ধার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করা হয়। রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর শ্যামবাজার থেকে কেরানীগঞ্জের তেলেরঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীর অংশে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীসহ এ ওয়াটার বাসটি ডুবে যায়। এসময় অনেকে সাঁতারে তীরে পৌঁছাতে পারলেও অনেকেই নিখোঁজ হন। পরে উদ্ধারকারীরা ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসের তিন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে। জীবিত উদ্ধার পাঁচজনকে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।