মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

প্রথম নিউজ, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়িতে স্কুল কমিটির নির্বাচনের দ্বন্দ্বে সুমন হালদার (৪৫) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায়  কাউসার হাওলাদার (৪৫), মো. শেখেনুল হাওলাদার(৪৮), নূর হোসেন হাওলাদার (৪০)কে আটক করেছে পুলিশ। নিহত এইচ এম সুমন হালদার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। পাঁচগাও গ্রামের প্রয়াত পিয়ার হোসেন হালদারের ছেলে। তিনি ২০২৩ সালের মার্চে পাঁচগাও ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্রকরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।

জানা যায়, গত সোমবার পাঁচগাও ওয়াহেদ আলী  উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন হয়েছে।  এ নির্বাচনে দেওয়ান মনিরুজ্জামান এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিলেনুর রহমান অংশ নেন। নির্বাচনে তিনি ৯ ভোটে  বিজয় লাভ করেন।  মিলেনুর ২ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। তার সমর্থক ছিলেন নূর মোহাম্মদ, নূর আহমেদ দুই ভাই।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন পরাজিত প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। তারা এ পরাজয়ের জন্য চেয়ারম্যান সুমন হালদারকে দোষারোপ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের মাঠে তাক গালিগালাজ করেন পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা। এ সময় চেয়ারম্যান সুমনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে স্কুল মাঠে ফেলে দেয় নুর মোহাম্মদরা। সেখানেই প্রকাশ্যে বুকে গুলি করে পালিয়ে যায় নুর মোহাম্মদ। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টঙ্গিবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে যান।

টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. প্রণয় মান্না মানবজমিনকে  বলেন, দুপুর পৌনে দুইটার দিকে সুমন হালদারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকের ডান পাশে নিচে একটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোল্লা মো. সোয়েব আলী বলেন, স্কুল কমিটির দ্বন্দ্বের জেরে স্কুল আঙিনায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনার পর বিকেল পৌনে চারটার দিকে নিহত সুমন হালদারের লাশ সুরতহাল শুরু করে। সে সময় নিহতের স্বজনরা সুমন হালদার জীবিত আছে এমন দাবি করে। পরে পুলিশ সুমনের নিথর দেহ দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের দিকে নিয়ে গেলে সেখানেও ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।