মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০২৯

আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) সেভ দ্য রোড এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গত এক মাসে তারা ২৬টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে তারা এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০২৯
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ, ঢাকা: গত মাসে সারাদেশে সড়কে গেছে  ১০২৯ প্রাণ। ওই নিহতের তালিকায় রয়েছে ৪৪৪ শিক্ষার্থী। সড়কে অব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৬৩১ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে বলে দাবি তুলছেন সড়ক বিশেষজ্ঞরা। নিহতদের মধ্যে মধ্যবয়সীরা রয়েছেন বেশি। তারপর আছেন নারী ও শিশুরা।  

আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) সেভ দ্য রোড এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গত এক মাসে তারা ২৬টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে তারা এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

প্রতিবেদন বলা হয়, শিক্ষার্থী এবং তরুণদের অধিকাংশের মৃত্যু কারণ হিসেবে দেখা গেছে দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালানো। অন্যান্য বাহন গুলোতেও প্রায় একই সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে; অর্থাৎ নির্ধারিত গতির চেয়েও অনেক বেশি গতিতে চলার কারণে প্রাইভেট কার, বাস ও ট্রাক দুর্ঘটনা গুলো ঘটেছে। এই সব বাহনের অধিকাংশ চালকের বয়সই ১৮ থেকে ৪০-এর মধ্যে।  

বাংলাদেশের ২৬ টি জাতীয় দৈনিক,সংবাদ সংস্থা ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার প্রকাশিত-প্রচারিত তথ্যের পাশাপাশি সারাদেশে সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবিদের তথ্যানুসারে- দ্রুত গতিতে মোটর সাইকেল চালানোর পাশাপাশি নিয়ম না মানা এবং হেলমেট ব্যবহারে অনীহার কারণে ১ হাজার ৩৬৭ টি দুর্ঘটনায় আহত ৯৯৪ এবং নিহত হয়েছে ২৭৫ জন।

এছাড়া অসাবধানতা ও ঘুমন্ত অবস্থায় দ্রুত গাড়ি  চালানোর কারণে ৮৩২ টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬৩৭ এবং নিহত হয়েছে ১২১ জন; খানা খন্দক, অচল রাস্তা-ঘাট আর সড়কপথ নৈরাজ্যের কারণে ১ হাজার ১১৬ টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ১ হাজার ১০৬ জন  এবং নিহত হয়েছে ৫২০ জন; পাড়া-মহল্লা-মহাসড়কে অসাবধানতার সাথে চলাচলের কারণে লড়ি-পিকআপ-নসিমন-করিমন-ব্যাটারি চালিত রিক্সা-সাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ১১৬ টি আহত হয়েছে ৮৫৭ জন এবং ২২২ জন নিহত হয়েছে।

এছাড়াও ১ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত নৌপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৪৪ টি। আহত ৫২১ জন, নিহত হয়েছে ২৩ জন; রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ২১২ টি। আহত হয়েছে ২৮৬ জন, নিহত হয়েছে ২১ জন। আকাশপথে কোন দুর্ঘটনা না ঘটলেও বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনার কারণে অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে ৫৬ জনকে।

সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব, জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, আইয়ুব রানাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৩১ মে পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে মে মাসের এই প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি আলোচনায় এসেছে - ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী তরুণদের বেপরোয়া বাহন চালনার কারণে নির্মম মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য মাসের চেয়ে বেড়েছে মে মাসে।

উল্লেখ্য,সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের পরিবহনগুলোও সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়িতে কেবল ঢাকা নগরীতে আহত হয়েছেন ২৯ জন।আর মৃত্যু বরণ করেছে মে মাসেই ২ জন। ট্রাফিক বিভাগ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এখনই বেপরোয়া বাহন চালানো থেকে চালকদেরকে নিবৃত করতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে।
পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সচেতনতা তৈরিতে সকলকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার প্রতিও গুরুত্ব দিয়েছেন সেভ দ্য রোড-এর গবেষণা সেল সদস্যগণ।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom