ভাইভা স্থগিত, প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা
প্রথম নিউজ, অনলাইন: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভাইভাসহ নিয়োগ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি দাস। পরে সায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ডিবি পুলিশ অনেককেই গ্রেপ্তার করে। তারা প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকারও করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত কোনো অনুসন্ধান তো দূরের কথা, কিছুই করেনি; বরং তারা এত বড় ঘটনা অগ্রাহ্য করে সামনে এগিয়ে গেছে এবং ভাইভাও নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আদালত শুনানি শেষে মৌখিক পরীক্ষা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দিয়েছেন। সেইসঙ্গে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্ত করে ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রশ্নফাঁসমুক্ত পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং নতুন করে পরীক্ষা নেয়ার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন। ২০২৩ সালের ১৪ই জুন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য সার্কুলার হয়।
গত ২৯শে মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অংশ নেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা চলাকালেই উত্তরপত্র ও ডিভাইসসহ মাদারীপুরে সাতজন ও রাজবাড়ীতে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় দুই জেলায় আলাদাভাবে মামলা হয়। রাজবাড়ীতে আটক হওয়া পরীক্ষার্থী আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন।
গত ২১শে এপ্রিল রাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রকাশের পরও ফল প্রকাশ হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। এ ঘটনার পর নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে আদালতে রিট আবেদন করেন জুয়েল রতন দাসসহ পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১৫ পরীক্ষার্থী।