বৃষ্টিতে ডুবে গেছে ময়মনসিংহ নগরী
পানি উঠেছে বাসাবাড়ি ও দোকানে। বাসায় পানি ওঠায় অনেকের রাত কেটেছে নির্ঘুম। নগরী ব্রাহ্মপল্লী এলাকায় হাঁটু পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন পলি (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ।
প্রথম নিউজ, ময়মনসিংহ: বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ময়মনসিংহ নগরীর রাস্তাঘাট। পানি উঠেছে বাসাবাড়ি ও দোকানে। বাসায় পানি ওঠায় অনেকের রাত কেটেছে নির্ঘুম। নগরী ব্রাহ্মপল্লী এলাকায় হাঁটু পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন পলি (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ। এছাড়া উপজেলায় তলিয়ে গেছে ধানক্ষেত। ভেসে গেছে পুকুর-ঘেরের মাছ। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার ভোর ৪টা পর্যন্ত টানা ভারী বর্ষণ হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ময়মনসিংহ নগরীর গাঙ্গিনারপাড়, ধোপাখলা, চরপাড়া, নতুন বাজার, স্টেশন রোড, নয়াপাড়া, ব্রাহ্মপল্লী, কালিবাড়ি, গুলকিবাড়ি, আমলাপাড়া, ভাটিকাশর, কালিবাড়িসহ নগরীর অনেক এলাকা হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি জমেছে। এসব এলাকার বাসাবাড়ি ও দোকানে পানি উঠেছে। অনেক পরিবার নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। নগরীর বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর কেওয়াটখালী এলাকার পাওয়ার গ্রিডের কন্ট্রোল রুমে পানি ঢুকে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তিন ঘণ্টায় কন্ট্রোল রুমের পানি সেচে বের করেন। এ ঘটনায় বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিল। রাত ২টার পর আবার কন্ট্রোল রুমে পানি জমে কেওয়াটখালী পাওয়ার গ্রিড বন্ধ আছে। এতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন আছে নগরীর বেশ কিছু এলাকা।
সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া এলাকায় অন্তত ৫০০ একর ধানক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ওই এলাকার কৃষকরা জানান, গতরাতের বৃষ্টির পানিতে সব ফসল তলিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, জেলার সব উপজেলায় ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে। তবে কী পরিমাণ ধানক্ষেত তলিয়েছে তার কোনো হিসাব এখনো করা হয়নি। পানি নেমে গেলে হিসাব করা যাবে।