বুক পেতে গুলি খাবো কিন্তু রাজপথ ছাড়বো না: মির্জা আব্বাস

বিএনপির আন্দোলনে গুলি চালানো হলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বুক পেতে গুলি খাবো কিন্তু রাজপথ ছাড়বো না: মির্জা আব্বাস
বুক পেতে গুলি খাবো কিন্তু রাজপথ ছাড়বো না: মির্জা আব্বাস

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপির আন্দোলনে গুলি চালানো হলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বলেন,  কেউ গুলি করলে আমরা তাকে ছাড় দেব না। আমরা আত্মাহুতির জন্য প্রস্তুত। আন্দোলনে গুলি চালানো হলে আমাদের আন্দোলনও ভিন্ন প্রক্রিয়ায় হবে। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব। সোমবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বলেন, এই যে মামলা-মোকাদ্দমা, এই যে গোলাগুলি, এতো সহজেই আমরা ছেড়ে দেবো না। আপনারা ভাবছেন, এরশাদের সময় আন্দোলন হয়েছে একরকম-ওটা ছিল এক প্রক্রিয়া। এখন যে আন্দোলন হচ্ছে, সুতরাং আমরা ভিন্ন প্রক্রিয়া নেব। আন্দোলনের ভিন্ন রূপ হবে। আন্দোলন কখনো একরকম চলে না, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে নিত্যপণ্য, চাল-ডাল-তেলের দামের যে ঊর্ধ্বগতি, এটা আর কোনোদিন কমবে না। এদেরকে সরাতে হবে, এদের ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে। যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা না পর্যন্ত এই আন্দোলন শেষ হবে না। সরকার বিএনপিকে বড় জায়গায় সমাবেশ করতে দেয় না অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা একদিন ঢাকা শহরের প্রতিটি অলিতে-গলিতে মিছিল করব। সেদিন আপনাদের অবস্থা কী হয় আমরা দেখবো। রাজপথ আমরা কিন্তু আপনাদের হাতে ছেড়ে দেবো না। রাজপথ আমরা দখল করবো। তিনি বলেন, সময় এসে গেছে। বিএনপি নেতারা, ছাত্রদল নেতারা, যুবদল নেতারা গুলি খাওয়া শিখে গেছেন। সুতরাং ভয়ের কোনো কারণ নেই। বুক পেতে দেবো, গুলি খাবো কিন্তু রাজপথ ছেড়ে যাবো না, এটা আমাদের শপথ।

মির্জা আব্বাস বলেন, সামিট গ্রুপের আজিজ খান, আওয়ামী লীগের ফারুক খানের ভাই, আপনারা সবাই জানেন। সেদিন দেখলাম সিঙ্গাপুরে বড় ধনীদের মধ্যে একজন। এরকম গরীব দেশের যে কত ধনী আছে যারা বিদেশে থাকে, দেশে টাকা আছে। কেন? কয়েকদিন আগে না আপনারা তাদেরকে ছাড় দিলেন যে, বিদেশ থেকে টাকা আনলে তাদের কর ছাড় দেয়া হবে। টাকা কি এসেছে বলতে পারবেন? আসেনি। যারা বিদেশে টাকা নিয়ে গেছে এখন সেখানে তাদের জবাব দিতে হচ্ছে যে, এই টাকার ট্যাক্স কই? ট্যাক্স দিয়েছেন? দেননি। তাহলে টাকাটা হালাল হচ্ছে না, এই টাকাটা জায়েজ করা যাচ্ছে না। এই টাকাটা জায়েজ করার জন্য তাদের একটা সুযোগ দেয়া হলো, বাজেটে এই ছাড় দেয়া হয়েছে, অর্থাৎ বিদেশে যদি তাদের জিজ্ঞেস করা হয় তখন তারা বলবে যে, আমরা দেশে ট্যাক্স দিয়ে এসেছি। এই হচ্ছে সরকারের অবস্থা।তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি ন্যায্য হিস্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে কোনো আলোচনা না হওয়ায় কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম-আহ্বায়ক লিটন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য এম হান্নানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, যুবদলের গোলাম মওলা শাহিন, শ্রমিক দলের সুমন ভুঁইয়া এবং মহিলা দলের রুমা আখতার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom