বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে আসতে ভয় পায় : লিটন

বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে আসতে ভয় পায় : লিটন

প্রথম নিউজ, রাজশাহী : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। তারা জনগণের রায়ের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছে। তাদেরকে অনেকবার নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক নেতা বলেছেন, আমাদের জায়গা থেকে আমিও বলেছি। কিন্তু তারা নির্বাচনে না এসে আবারও ২০১৪-২০১৫ সালের মতো জ্বালাও-পোড়াও অবস্থা তৈরি করতে চাচ্ছে।

শনিবার (১৩ মে) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে  তানোর-গোদাগাড়ীর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি-জামায়াত তাদের পুরাতন খেলা আবারও খেলছে। তারা নির্বাচনে আসতে চায় না, তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায়। তাদের শর্ত মেনে নিলে তারা নির্বাচনে আসবে। তাদের শর্ত মানার মতো নয়। তাদের শর্ত অসাংবিধানিক, সেটি মামার বাড়ির আবদার বলে জাতির কাছে মনে হচ্ছে। তাদের দাবি হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। অথচ সংবিধান বলছে, তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই। দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলে দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আর প্রয়োজন নেই। ভারত, ইংল্যান্ডসহ উন্নত দেশে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার হয়। সেই ভাবেই সরকার হবে, তার প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচনে আসেনি। এরপর তারা জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করেছে, মানুষের সর্বনাশ করেছে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। যারা অগ্নিদদ্ধ তারা বুঝছে পুড়ে যাওয়ার কষ্ট। তারা আবারও মানুষকে ভয় দেখিয়ে নির্বাচন থেকে দূর রাখতে চায়। সেটি কি সম্ভব? ২০১৪ সালে নির্বাচন বন্ধ করতে পেরেছিলেন? পারেননি। নির্বাচন থেমে থাকেনি। এবারো থেমে থাকবে না।

মেয়র লিটন বলেন, রাজশাহী শুধু দৃষ্টিনন্দন শহর নয়, উন্নয়নের বাতিঘর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। একটি সিটি এলাকা কেমন হতে পারে তার প্রতিরূপ দেখতে পাচ্ছেন। এখানে সুন্দর ভবন হয়েছে, প্রশস্ত রাস্তা হয়েছে, আলোকায়ন হয়েছে, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, সড়কে সারা বছর ফুল ফোটে। এই কাজগুলো ধরে রেখে রাজশাহীকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শহরকে বড় করতে হবে। শহর সম্প্রসারণ করার পরে সেসব এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে। 

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. বদরুজ্জামান রবু মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, কাকনহাট পৌরসভার মেয়র একেএম আতাউর রহমান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট একরামুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন খান, সাবেক সচিব জিল্লার রহমান, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম প্রমুখ।