ফ্রিজে জুতার বাক্সে রাখা ছিল চার শিশুর মরদেহ

চলতি সপ্তাহে একটি মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি এমটি এমনটি জানান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

ফ্রিজে জুতার বাক্সে রাখা ছিল চার শিশুর মরদেহ

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: আমেরিকার বোস্টনে ফ্রিজের ভেতর থেকে চারটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার হওয়ার দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এ নিয়ে এখনও কোনো মামলা হয়নি। চলতি সপ্তাহে একটি মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি এমটি এমনটি জানান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, সাফোক ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি কেভিন হেইডেন ২০২২ সালের নভেম্বরে ফ্রিজের মধ্যে চারটি শিশু পাওয়ার ঘটনাকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জটিল, অস্বাভাবিক এবং বিভ্রান্তিকর বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে তিনি জানান যে, অভিযুক্ত ৬৯ বছর বয়সী নারী অ্যালেক্সিস আলদামিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কারণে মামলা করা সম্ভব হবে না।   

এক বিবৃতিতে হেইডেন বলেন, ‘এই তদন্ত ছিল আমাদের মুখোমুখি হওয়া সবচেয়ে জটিল, অস্বাভাবিক এবং বিভ্রান্তিকরগুলোর মধ্যে একটি। যদিও আমাদের কাছে কিছু উত্তর আছে, তবে এমন অনেক ব্যাপার রয়েছে যার উত্তর সম্ভবত কখনই দেওয়া হবে না।’
 
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আলেক্সিস অ্যালদামিরের অ্যাপার্টমেন্টে পাওয়া চারটি শিশুর জন্ম কোথায় বা কখন হয়েছিল তা আমরা কখনোই জানতে পারব না। আমরা কখনোই জানতে পারব না যে চারটি শিশু জীবিত জন্মেছিল কিনা এবং আমরা কখনোই জানতে পারব না যে, তাদের কী হয়েছিল। আমরা কখনোই জানতে পারব না কীভাবে অ্যালেক্সিস আলদামির তার গর্ভাবস্থা লুকিয়ে রেখেছিল। কারণ তিনি পুরো তদন্তজুড়েই জিজ্ঞাসবাসের সময় শিশুদের জন্ম নিয়ে উল্টাপাল্ট বক্তব্য দিয়েছেন।’
 
এনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের নভেম্বরে সাউথ বোস্টনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে চারটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই অ্যাপার্টমেন্ট পরিষ্কার করার সময় এক নারী শিশুগুলোকে দেখতে পান। পরে তাঁর স্বামী পুলিশকে খবর দেয়। শিশুগুলোর মধ্যে দুটি ছেলে ও দুটি মেয়ে ছিল। তাদেরকে একটি জুতার বাক্সে ফয়েল পেপারে পেঁচিয়ে রাখা হয়। পরে ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা যায়, শিশুগুলো ভাই-বোন। তবে তাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

ডিএনএ পরীক্ষায় শিশুর সম্ভাব্য বাবা শনাক্ত করা গেছে। বলা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি ২০১১ সালে মারা গেছেন। তদন্তকারীরা বলছেন, ওই ব্যক্তির মোট পাঁচটি শিশু ছিল। যার মধ্যে একজনকে দত্তক দেওয়া হয়েছিল এবং ওই শিশুর জন্ম রেকর্ডও পাওয়া গেছে।