প্রেমিকাকে বিয়ে করতে না পেরে সুইসাইড নোট লিখে থানায় যুবক
বুধবার (৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নোমান সিদ্দিকী।
প্রথম নিউজ, সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ায় প্রেমিকাকে বিয়ে করতে না পেরে সুইসাইড নোট লিখে থানায় হাজির হয়েছেন শিমুল হাসান নামের এক যুবক। বিয়েতে পরিবারের মত না থাকায় তিনি এ কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নোমান সিদ্দিকী। এর আগে গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিবারকে যাতে আইনি জটিলতায় পড়তে না হয় এজন্য সুইসাইড নোট লিখে থানায় জমা দেন শিমুল। পরে তাকে বুঝিয়ে পরিবারের জিম্মায় দিয়ে আসে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে শিমুল তার পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানালেও পরে জানা যায়, তিনি শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসূতী গ্রামের বাসিন্দা ও আব্দুল মান্নান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিমুল দরিদ্র এক কৃষক পরিবারের ছেলে। এর আগে শিমুল তার প্রেমিকাকে বিয়ে করার জন্য নিজ পরিবারকে জানান। কিন্তু পরিবার তার বিয়েতে মত না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এ কারণে শিমুল একটি ২০ টাকার স্ট্যাম্পে সুইসাইড নোট লিখে আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসারের কাছে জমা দিতে আসেন।
সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, আমি মো. শিমুল হাসান। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক এবং আমার বয়স ১৮। বর্তমানে আমি প্রাপ্তবয়স্ক ও আমার ভালোমন্দ আমি বুঝতে শিখেছি। অতএব আমি শিমুল হাসান সজ্ঞানে চিন্তাভাবনা করে এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, ভবিষ্যতে আমার যদি কোনো প্রকার ক্ষতি হয় কিংবা আমি মারা যাই, এর জন্য এই পৃথিবীর কেউ দায়ী থাকবে না। আমার মৃত্যুর জন্য কেবলমাত্র আমি নিজেই দায়ী। আমি মারা গেলে আইন যেন আমার পরিবারের কারও ওপর কোনো হয়রানি করতে না পারে।
আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নোমান সিদ্দিকী বলেন, আমি গতকাল শিমুলের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রথমে তিনি তার পরিচয় এমনকি পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতেও সহযোগিতা করছিল না। পরে তাকে বুঝিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলি। আমি তার পরিবার বোন-ভগ্নিপতিসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। শিমুলের পরিবার তার বিয়েতে রাজি না এমনটা না। তিনি তার প্রেমিকাকে বিয়ে করলে পরিবারের কোনো সমস্যা নেই। তবে তার বয়স মাত্র ১৮ বছর। পরিবার তাকে আরও কয়েক বছর পর দিয়ে দিতে চায়। একারণে অভিমানে শিমুল এই কাজ করছে। আমরা শিমুলকে বুঝিয়ে তার পরিবারের জিম্মায় দিয়ে এসেছি। বর্তমানে সবকিছু স্বাভাবিক।