দশমিনায় পুলিশ বিএনপি সংঘর্ষ আহত ২৫
উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উপজেলা সদরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
প্রথম নিউজ, পটুয়াখালী: বিএনপি’র ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালি চলার সময় পুলিশ বিএনপি সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উপজেলা সদরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি’র ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা সদরের নলখোলা খানকার মাঠে সমাবেশসহ র্যালির আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি। সমাবেশে উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও অঙ্গ-সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে সমাবেশ ও র্যালিতে যোগ দেন। সমাবেশ শেষে র্যালিটি উপজেলা সদরের আদালত চত্বর অতিক্রম করার সময় দশমিনা থানার এসআই মেহেদীর সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পূজাখোলার চা দোকানি মো. চান মিয়া জানান, বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে এক পুলিশ সদস্য তার চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। পরে তার দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে আহত করেন বিএনপি কর্মীরা। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা লাঠিসোটাসহ পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে আহত হন এসআই কামাল হোসেন (৪২), কনস্টেবল জাকির (৪৬), নাজমুল ইসলাম (৩৫), ইস্রাফিল ইসলাম (৩৫) ও সিফাত হোসেন (৩২)। আহত পুলিশ সদস্যরা দশমিনা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জোবায়ের হোসেন আক্কাস, সদস্য সচিব শাওন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তাহের, আব্দুর রহিম, সদস্য সুজন আহত হয়েছে। এ ছাড়া ছাত্রদল নেতা আসাদ (২০) ও কিরণ (২২)কে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দশমিনা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম শানু জানান, বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ র্যালিতে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়ে মহিলা দলের নেতাকর্মীদের বেধড়ক পেটায়। এ সময় আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের বেধড়ক পিটুনিতে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। দশমিনা থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করা ও মোটরসাইকেল ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনায় ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সংঘর্ষের পর পরই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইকবাল মাহামুদ লিটন নেতাকর্মী নিয়ে উপজেলা সদরে মহড়া দিয়ে জানান, বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন এদের একটু সুযোগ দিলেই জ্বালাও-পোড়াও ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের ওপর হামলা ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় কঠোর বিচার দাবি করেন তিনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গলাচিপা-দশমিনা থানা সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার মো. তোহা অতিরিক্ত পুলিশসহ দশমিনা উপজেলা সদরে টহল দিচ্ছিলেন।