দীঘিকে হেয় করে সমালোচনার মুখে পরিচালক

দীঘিকে হেয় করে সমালোচনার মুখে পরিচালক
দীঘিকে হেয় করে সমালোচনার মুখে পরিচালক

প্রথম নিউজ, বিনোদন অনলাইন :  প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। চলচ্চিত্র তারকা সুব্রত ও দোয়েলের সুযোগ্য কন্যা। ছোটবেলাতেই তিন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন শিশুশিল্পী হিসেবে। বড় হয়েও সম্ভবনার জানান দিচ্ছেন। এরইমধ্যে ভারতের বরেণ্য নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের ‘বঙ্গবন্ধু’ সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ওরফে ‘রেনু’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীঘি। পাশাপাশি কাজ করছেন ওয়েবেও। সর্বশেষ চরকির ‘চিঠি’ ওয়েব ফিল্মের মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসেবে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। এদিকে সম্প্রতি নাম উল্লেখ না করে শোবিজে সিন্ডিকেটের শিকার হয়েছেন বলে একটি ফেসবুক পোস্ট দেন তিনি। নেটিজেনদের একটি অংশ মনে করেন, রায়হান রাফী পরিচালিত ‘সুড়ঙ্গ’ ছবিতে দীঘির কাজের কথা ছিল, পরে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। সে কারণেই দীঘি এমন পোস্ট করেছেন। যদিও নিজের পোস্টে এ অভিনেত্রী কারও নাম উল্লেখ করেননি। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে রায়হান রাফী সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে দীঘিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার সঙ্গে অনেকেই দেখা করে, কাজ করতে চায়। দীঘির সঙ্গেও দেখা হয়েছে, আইডিয়া শেয়ার করেছি। দীঘি তখন হতাশ ছিল।

 আমি  মোটিভেট করার চেষ্টা করেছি। আমি চরম ব্যস্ত ছিলাম, তারপরও দীঘির সঙ্গে দেখা করেছি, বুঝিয়েছি। এরপর আর কোনোদিন কথা হয়নি আমাদের। শুধু দেখা হয়েছে অনুষ্ঠানে। আমি তো তাকে স্ক্রিপ্টই দেইনি। শর্টলিস্টেই তো দীঘি ছিল না। চুক্তিবদ্ধ হওয়া তো দূরে। ছোটবেলায় সে ভালো কাজ করতো। বড় হয়ে পারেনি। তবে মিথ্যা বিতর্ক তৈরি করা ঠিক নয়। রাফী দীঘিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমার যোগ্যতায় সমস্যা আছে। তোমার টিকটক বন্ধ করতে হবে। শরীরিকভাবে ফিট হতে হবে। আমি ১০০ জনকে দেখে ১ জনকে নেবো। আমি তোমাকে নেই নাই, মানে তোমার যোগ্যতা নাই। যোগ্যতা নাই, আবার বড় গলায় কথা বলছো। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। বার বার নিজের বক্তব্যে দীঘির ফিটনেস নিয়ে কথা বলে রাফী বডি শেমিং করেছেন বলেও অনেকে মত দেন। আবার দীঘির যোগ্যতা নিয়ে কথা বলে তাকে হেয় করা হয়েছে বলেও মনে করেন নেটিজেনরা। যার ফলে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন রায়হান রাফী।

এদিকে বিয়ষটি নিয়ে দীঘির বাবা ও অভিনেতা সুব্রত বলেন, দীঘির মাত্র শুরু। এখনো অনেক পথ পাড়ি দেয়া বাকি। সে কিন্তু তার পোস্টে কারও নাম উল্লেখ করেনি। কিন্তু সেই পরিচালক কিন্তু নিজের ওপর নিয়ে নিয়েছে বিষয়টি। সিন্ডিকেট তো আরও থাকতে পারে। সে নিজের ওপর কেন নিলো সেটা একটা প্রশ্ন। দ্বিতীয়ত, এতটা আক্রমণাত্মক হবার কিছু নেই। বিনয় আসলে কাউকে শেখানো যায় না। আর সে ব্র্যান্ডের কথা বলছে। ব্র্যান্ড কারা? ব্র্যান্ড হলো- আমজাদ হোসেন, চাষী নজরুল ইসলামরা। একটা-দুটো সিনেমা হিট দিয়ে ব্র্যান্ড হওয়া যায় না। তৃতীয়ত, আমি দীঘিকে বলেছি, এসব বিষয় মাথায় না নিতে। কারণ তার আরও অনেক পথ বাকি। আমি তার মা মারা যাওয়ার পর থেকে অনেক আদর যত্নে তাকে মানুষ করেছি। তার মধ্যে শিল্পস্বত্বাটা আছে। আমি মনে করি সেটি সে প্রমাণ করতে পারবে তেমন সুযোগ পেলে। 

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom