জাল ভোট একটি পড়লেও দায়ী ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা: ইসি আহসান
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে যশোরের মণিরামপুরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। বেলা ১১টায় মণিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রথম নিউজ, যশোর: নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান বলেছেন, বর্তমান কমিশন গত ২২ মাসে ১৩০০ ভোট করেছে। একটাতেও অনিয়ম, অবিচার পাবেন না। আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার বিকল্প নেই। এজন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই জাল ভোট একটি পড়লেও দায়ী ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে যশোরের মণিরামপুরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। বেলা ১১টায় মণিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন তিনি।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ইসি আহসান হাবীব খান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুরে ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীকে সুবিধা দিতে গিয়ে অনেক শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। তাদের জন্য মায়া হয়। যদি কোনো শিক্ষক প্রার্থীকে সুবিধা দিতে গিয়ে নিজের চাকরি হারান, তবে সেটি হবে দুঃখজনক হবে।
কেন্দ্রে যদি কেউ জোরাজুরি করে তাহলে পুলিশকে জানাবেন। এরপরও ঠেকাতে না পারলে কেন্দ্র বন্ধ করে চলে যাবেন। পরে ভোট নেওয়া হবে। কিন্তু কোনোভাবেই জাল ভোট দিতে দেওয়া হবে না। একজনও যদি জাল ভোট দেয়, তার জন্য পোলিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসার দায়ী থাকবেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের উপর বিদেশিদের নজর আছে। তবে বাইরের কেউ আমাদের সমস্যা ঠিক কর দিতে পারবে না। ফলে আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।