জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন দলটির নেতাকর্মীরা।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিমের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন দলটির নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ সমাবেশে সরকারপ্রধানের পদত্যাগসহ সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মওলানা এবিএম জাকারিয়া বলেন, আমাদের দলের নায়েবে আমিরের প্রোগ্রামে পুলিশ নগ্ন হস্তক্ষেপ করে সে প্রোগ্রাম বানচাল করেছে। এ সরকার আজ সংবিধানের দোহাই দিয়ে জাতীয় সরকার দিতে চায় না। অথচ রাজনৈতিক সভা সমাবেশ করা আমাদের রাজনৈতিক অধিকার। আমাদের এই সমাবেশ বায়তুল মোকাররমের সামনে করার কথা থাকলেও সেটা করতে দেওয়া হয়নি। আওয়ামী নেতারা বলেন- নির্বাচন হলে ৭০ ভাগ ভোট নাকি তারাই পাবে। যদি সেটাই হয় তাহলে পদত্যাগ কেন করেন না? তারা নির্বাচনে আসলে মাত্র ১০ আসনও পাবেন না। আজ বাংলাদেশের বিরোধী দলকে চাপিয়ে রাখতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে।
তিনি বলেন, প্রেস ক্লাবের সামনে টানা ১৮ দিন অবস্থান করছে। আমরা তাদের দাবির সাথে একমত হয়ে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। শিক্ষকদের অপমান করলে সেটা ভালো বিষয় হবে না। সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বলেন, এ সরকার অপদার্থ এক সিইসির মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা করছে। এমন এক মন্ত্রিপরিষদ পরিচালনা করছে যারা দেশের কাঁচামরিচের দামও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। দেশ পরিচালনায় তারা বরাবরই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
বক্তারা বলেন, আমরা দেখেছি সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিভিন্নভাবে লিয়াজু ও তাঁবেদারি করছে। গত দুইটি নির্বাচন রাতের আঁধারে হয়েছে। এই রাতের আধারের সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ মুছে দিয়েছে, মদের বারের লাইসেন্স দিয়েছে, পতিতালয়ের বৈধতা দিচ্ছে। ক্ষমতায় টিকে থাকে যাকে যেভাবে হ্যারাজমেন্ট করা দরকার সেটা করছে। আওয়ামীলীগ এখন দেউলিয়া সংগঠনে পরিণত হয়েছে।