‘চলমান আন্দোলনের ঢেউয়ে শেখ হাসিনার তক্ততাউস ধ্বংস করে দিবে’
খুলনায় পদযাত্রা পুর্ব সমাবেশে এড. নিতাই রায় চৌধুরী
প্রথম নিউজ, খুলনা প্রতিনিধি: দেশের জনগণ স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। দেশের জনগণ আর হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না উল্লেখ করে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এড. নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে কিন্তু তারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি। তারা মুক্তিযুদ্ধের সময়ের পলাতক শক্তি। এদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়ে ছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি (জিয়াউর রহমান) কালুঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ডাক না দিলে এদেশ স্বাধীন হতো না। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে ছিলো এদেশের জনগণ। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে কুক্ষিগত করে বাকশালী পন্থায় দেশ পরিচালনা করছে। আপদমস্তক দুর্নীতিবাজ সরকারকে আর এদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
সারাদেশে আন্দোলনের যে ঢেউ উঠেছে- সে ঢেউয়ে সরকার ভেসে যাবে। শেখ হাসিনা আগুন নিয়ে খেলা করছে উল্লেখ করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, হাত দিয়ে যেমন সূর্য্যরে কিরণ ঠেকানো যায় না, নদীর টেউ যেমন বাধ দেয়া যায় না, ঠিক তেমনি দেশজুড়ে আন্দোলনের যে ঢেউ উঠেছে, সেই ঢেউয়ে শেখ হাসিনার তক্ততাউস ধ্বংস করে দিবে। শেখ হাসিনার পতন ঠেকানো যাবে না। অচিরেই শেখ হাসিনার পতন হবে। তিনি পুলিশ প্রশাসনকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আপনারা জনগণের পক্ষে কাজ করুন, বিএনপি জনগণের পক্ষে কথা বলছে, দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রনের কথা বলছি, জনগণের ভোটাধিকারের কথা বলছে। আপনারা (পুলিশ প্রশাসন) যদি গণদাবীর বিপক্ষে অবস্থান করেন তাহলে ভবিষতে চরমমূল্য দিতে হবে।
রবিবার (২৮ মে) বিকাল ৪টায় দ্রব্যমুল্যের লাগাতার উর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, সরকারের লাগামহীন দুনীর্তি, মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দায়ের, গ্রেফতার, জামিন বাতিল, দমন নিপীড়নের প্রতিবাদে ও গনতন্ত্র বিরোধী সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে দলীয় কার্যালয়ে সামনে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসুচির অংশ হিসেবে পদযাত্রা কর্মসুচি পুর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিবের আমলে রক্ষিবাহিনী দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে। শেখ মুজিব নিজেই বলেছিলেন সবাই পেয়েছে সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি। শেখ মুজিব সিরাজ শিকদারকে হত্যা করে সংসদে দাড়িয়ে বলেছিলেন কোথায় সেই সিরাজ শিকদার। পিতার মতই শেখ হাসিনা গনতন্ত্র হত্যা করে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের দাবি বন্দুকের নলে বন্ধ করতে চায়।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, বর্তমান সরকার ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে দেশ পরিচালনা করছে, মুলতঃ তারা রাষ্ট্রদ্রোহী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দিয়েছেন, আর কোন শান্তি সমাবেশ করবেন না; তারা প্রতিহত করবেন। তার নির্দেশেই খুলনাসহ সারা দেশে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালাচ্ছে। হাজার হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আহত করা হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন। গায়েবী মামলা দায়ের করা থেকে বিরত থাকাসহ পুলিশ প্রশাসনকে প্রজাতন্ত্রের সেবক হিসেবে কাজ করার আহবান জানান।
কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান। এ সময় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, খান জুলফিকার আলী, স ম আব্দুর রহমান, সাইফুর রহমান মিন্টু, বেগম রেহেনা ঈসা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, মো. রকিব মল্লিক, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, বদরুল আনাম খান, শেখ তৈয়বুর রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শামীম কবীর, আশরাফুল আলম খান নান্নু, মাসুদ পারভেজ বাবু, শামসুল আলম পিন্টু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, এনামুল হক সজল, কেএম হুমায়ুন কবীর, হাফিজুর রহমান মনি, আবু মো. মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, শেখ জাহিদুল ইসলাম, চৌধুরী কাওসার আলী, এড. মোমরেজুল ইসলাম, আবদুল মজিদ, খায়রুল ইসলাম খান জনি, বিএম তানভিরুল আজম, শাকিল আহমেদ দিলু, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, ইলিয়াস হোসেন মল্লিক, শেখ আজগর আলী, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, মোল্লা এনামুল কবির, আনিছুর রহমান, সুলতান মাহমুদ, এড. চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার, জিএম রফিকুল ইসলাম, মুর্শিদুর রহমান লিটন, নাজমুর সাকির পিন্টু, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, এড. মোহাম্মদ আলী বাবু, আরিফুর রহমান, খন্দকার ফারুক হোসেন, শেখ জামাল উদ্দিন, রবিউল হোসেন, সরোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু, নাসির খান, সরদার আব্দুল মালেক, আব্দুস সালাম, রাহাত আলী লাচ্চু, আলমগীর হোসেন, কাজী শাহ নেওয়াজ নিরু, মনির হাসান টিটো, আব্দুর রহমান ডিনো, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, ফারুক হোসেন হিলটন, শেখ আবুল বাশার, তারিকুল ইসলাম, মো. জাহিদ হোসেন, গাজী আব্দুল হালিম, মিজানুর রহমান মিলটন, জাফরি নেওয়াজ চন্দন, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, শামসুল বারিক পান্না, মুজিবর রহমান, মহিলা দলের অজিজা খানম এলিজা, এড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, সেতারা সুলতানা, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, শহিদুল ইসলাম, আজাদ আমিন, যুবদলের এবাদুল হক রুবায়েত, নেহিবুল হাসান নেহিম, আব্দুল্লাহিল কাফি সখা, আব্দুল আজিজ সুমন, মো. জাবির আলী, কৃষকদলের মোল্লা কবির হোসেন, ছাত্রদলের ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিকুল ইসলাম শাহিন, শ্রমিকদলের শেখ হেমায়েত হোসেন প্রমুখ।