খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নিতে বাধা দেয়া শুধু অমানবিক নয়, সংবিধান লঙ্ঘন: মির্জা ফখরুল

আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নিতে বাধা দেয়া শুধু অমানবিক নয়, সংবিধান লঙ্ঘন: মির্জা ফখরুল

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নিতে বাধা দেয়া শুধু অমানবিক নয়, সংবিধান লঙ্ঘন এবং বেআইনীও বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সুচিকিৎসার সুযোগ পাওয়া একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। এই মৌলিক অধিকার আমাদের দেশের সংবিধানও নিশ্চিত করেছে। সংবিধানের তৃতীয়ভাগে নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া দেশের একজন সিনিয়র সিটিজেন। সংবিধান তাঁকে বেঁচে থাকার জন্য চিকিৎসা গ্রহনের অধিকার নিশ্চিত করেছে। যে রোগের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়, সামর্থ অনুযায়ী দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে বাধা দেওয়া সংবিধানকে অবজ্ঞা করা। প্রকৃত পক্ষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সংবিধানের দেওয়া চিকিৎসা সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে - যা অন্যায়, অমানবিক ও অসংবিধানিক।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, ৩ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দু’টি মামলায় সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিত রায় দিয়ে কারাগারে আটক রাখে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রæয়ারী থেকে দীর্ঘদিন নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যাক্ত নির্জন কারাগারে শ্যাত শ্যাতে ভবনে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বয়োবৃদ্ধ বেগম জিয়া। এক পর্যায়ে দলীয় চাপে অসুস্থ বেগম জিয়াকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে শর্ত সাপেক্ষে কারাগারের পরিবর্তে বাড়িতে থেকে চিকিৎসার জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয় ২০২০ সালের মার্চ মাসে। এরপর থেকে তিনি বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তাঁর শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটে। বেশ কয়েকবার তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ডাক্তারদের নিবীড় পর্যবেক্ষণে থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।  ইতোমধ্যে তিনি লিভারে জটিল রোগে আক্রন্ত হওয়ার পাশাপাশি দু’টি কিডনী দূর্বল হয়ে পড়ে। এতে ডাক্তারদের গঠিত মেডিকেল বোর্ড বারবার বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন পরিবারকে। সর্বশেষ গত দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে বেগম জিয়া ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে রয়েছেন। তাঁর শারিরীক অবস্থার অবনতির কারণে প্রায় সিসিইউতে নেয়া হচ্ছে। অবস্থার একটু উন্নতি হলে আবার কেবিনে ফেরত আনা হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের ৮জন অধ্যাপকসহ ১৫জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড সর্বসম্মতভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রয়োজনীয় যথাযথ চিকিৎসার জন্য বিদেশে কোন আধুনিক, উন্নত ও বিষেশায়িত হাসপাতালে দ্রæত স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছেন। এই অবস্থায় ডাক্তাররা পরিবারকে বারবার চাপে রাখছেন বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য। বিএনপি দলীয়ভাবেও সরকারের কাছে নানাভাবে আবেদন জানিয়েছে গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ করতে। কিন্তু সরকার এতে সায় দিচ্ছে না। এমন কি পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক আবেদন করা হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার সুযোগ দিতে।

তিনি বলেন, সরকারের আইনমন্ত্রী ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার দোহাই দিয়ে বলছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেওয়ার সুযোগ আইনে নাই। যদিও সিনিয়র আইনজীবীরা গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে ইতোমধ্যেই বলেছেন সরকার চাইলে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে আইনে কোন বাধা নেই।
দেখে নেওয়া যেতে পারে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় কি রয়েছে--
৪০১ ধারাটি হচ্ছে দন্ড স্থগিত অথবা মওকুফ করার ক্ষমতা প্রসঙ্গে। এই ধারার বেশ কয়েকটি উপ-ধারা রয়েছে। তবে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে ৪০১ ধারার (১) নং উপ-ধারার আলোকে মুক্তি দেওয়া হয়। দেখে নেওয়া যেতে পারে এই ধারায় কি বলা হয়েছে।
ধারাঃ ৪০১। “(১) কোন ব্যক্তি কোন অপরাধের জন্য দন্ডিত হলে সরকার যে কোন সময় বিনা শর্তে বা দন্ডিত ব্যক্তি যা মেনে নেয় সেই শর্তে তার দন্ড কার্যকরীকরণ স্থগিত রাখতে বা সম্পূর্ণ দন্ড বা দন্ডের অংশ বিশেষ মওকুফ করতে পারবেন।”
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কথা থেকে স্পষ্ট বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা এবং বিদেশে যেতে পারবে না এমন শর্তে দন্ড স্থগিত করে বাসায় থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, যে শর্তে দেশনেত্রীর দন্ড স্থগিত করে বাসায় থাকতে দেয়া হয়েছে তা সরকারের পক্ষে বদলানো সম্ভব নয়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জেলখানায় ফিরে নিয়ে আদালতে আপীল করলে শুধু আদালতেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে পারে বলে আইনমন্ত্রী বলেছেন। আপনাদের স্মরণ থাকার কথা, এই আইন মন্ত্রীই এক সময় বলেছিলেন যে দন্ড স্থগিত করে বাসায় থাকতে দেয়ার ক্ষমতা সরকারের নেই, এটা পারে শুধুই আদালত। অথচ তার কিছুদিন পরেই সরকারের নির্বাহী আদশে দেশনেত্রী বাসায় এসেছিলেন। এবারও দেশবরেণ্য আইনজ্ঞগণ বলেছেন যে, সরকার চাইলেই দন্ড স্থগিতের নির্বাহী আদেশ সংশোধন করে দেশনেত্রীকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে। ফৌজদারী দন্ডবিধির ৪০১ ধারায় কোথাও সরকারের এমন সিদ্ধান্ত দিতে বাধা দেয় না। এর জন্য প্রয়োজন শুধু সরকারের সদিচ্ছা। দারুনভাবে অসুস্থ এবং দেশে চিকিৎসা অসম্ভব হওয়া সত্তে¡ও সিনিয়র সিটিজেন একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে চিকিৎসা নিতে বাধা দেয়া শুধু অমানবিক নয়, সংবিধান লঙ্ঘন এবং বেআইনীও।
ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া সম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দন্ডপ্রাপ্ত কাউকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর কোন দৃষ্টান্ত নেই। অথচ সত্য হলোÑ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের শাসনামলে দন্ডপ্রাপ্ত আসামী তৎকালীন জাসদের সাধারণ সম্পাদক জনাব আ. স. ম. আব্দুর রবকে চিকিৎসার জন্য জার্মানীতে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। একই ভাবে ১৩ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমকে ১/১১’র সরকার ২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে। এমন দৃষ্টান্ত আরো আছে। এমনকি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ কারাগারে অসুস্থ হলে তার প্রবল প্রতিদ্বন্ধী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছিল। কারাদন্ডিত নওয়াজের বিদেশে যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, “সরকার চিকিৎসকদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন বাঁচাতে উন্নত চিকিৎসাসেবা দরকার বলে চিকিৎসকরা পরামর্শ দেওয়ায় নওয়াজের বিদেশযাত্রায় আইনি বাধা তুলে নেওয়া হয়েছে। আমরা তার দ্রæত সুস্থ কামনা করি। তিনি যেন সুস্থ হয়ে ফিরে আবার দেশে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারেন। সারা বিশে^ এমন আরও বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। কাজেই দেশনেত্রীকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হলে তা’কোন নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে না বরং প্রতিষ্ঠিত মানবিক ও আইনানুগ দৃষ্টান্ত অনুসরণ করা হবে। সরকার দন্ড স্থগিত করণের শর্ত গুলো প্রত্যাহার করে নিলে গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসা প্রাপ্তি থেকে আর বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। আইনে কোথায়ও উল্লেখ নেই চিকিৎসার জন্য শর্ত প্রত্যাহার করার সুযোগ থাকবে না। অসুস্থ জেনেই সরকার বাড়িতে থাকার শর্তে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দিয়েছিল। সুতরাং যে অসুস্থতার সুচিকিৎসার সুযোগ দেশে নেই, সেই রোগের চিকিৎসা যে জায়গায় রয়েছে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দিলে আইনের ব্যতয় ঘটবে না। অন্যদিকে সুচিকিৎসার সুযোগ পাওয়া একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। এই মৌলিক অধিকার আমাদের দেশের সংবিধানও নিশ্চিত করেছে। সংবিধানের তৃতীয়ভাগে নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া দেশের একজন সিনিয়র সিটিজেন। সংবিধান তাঁকে বেঁচে থাকার জন্য চিকিৎসা গ্রহনের অধিকার নিশ্চিত করেছে। যে রোগের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়, সামর্থ অনুযায়ী দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে বাধা দেওয়া সংবিধানকে অবজ্ঞা করা। প্রকৃত পক্ষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সংবিধানের দেওয়া চিকিৎসা সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে - যা অন্যায়, অমানবিক ও অসংবিধানিক।
তিনি আরো বলেন,  আসুন রাজনৈতিক দিক থেকেও যদি বিষয়টি আলোচনা করা হয় তাহলে দেখা যাবে শেখ হাসিনাও এমন সুযোগ ব্যবহার করেছেন ২০০৮ সালে। জরুরী আইনের সরকারের সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বেশ কয়েকটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশীট দেওয়া হয়েছিল। একাধিক মামলায় সুপ্রিমকোর্টেও শেখ হাসিনা পরাজিত হয়েছিলেন। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ থেকে তখন বলা হয়েছিল মামলা গুলো বিচারে কোন বাধা নেই। এরমধ্যে ছিল মিগ ২৯ ক্রয়ে দুর্নীতির মামলা এবং ফ্রিগেট ক্রয়ে দুর্নীতির মামলা। এছাড়া বেশ কয়েকটি চাঁদাবাজির মামলা ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। মামলা গুলোতে চার্জশীট দিয়ে চার্জ গঠন করা হয়েছিল। বিচারে সাক্ষীও শুরু হয়েছিল একাধিক মামলায়। এই অবস্থায় নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। অসুস্থাতার কথা বলেই বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাঁকে মুক্তি দিয়েছিল জরুরী আইনের সরকার। যদিও সাবজেল থেকে নির্বাহী আদেশে মুক্ত হওয়ার দুই/তিন দিনের মধ্যেই তিনি বিদেশে যান চিকিৎসার জন্য। নির্বাহী আদেশে তাঁর মুক্তির পরও একটি চাঁদাবাজির মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছিল। এই মামলাটিতে জামিনের আবেদন হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগেও খারিজ করা হয়েছিল। তিনি নির্বাচনের আগে বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছিলেন একজন ওয়ারেন্টের আসামী হিসাবে এবং প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথও নিয়েছিলেন ওয়ারেন্টের আসামী থাকা অবস্থায়। সুতরাং আইনের দোহাই দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রাখার সুযোগ নেই। সরকার হীন উদ্দেশ্যে আইনের দোহাই দিয়ে  চিকিৎসা থেকে দেশনেত্রীকে বঞ্চিত রেখে মৃত্যু দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আপনাদের মাধ্যমে পুনরায় সরকারকে বলবো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে অন্যায় ভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার পরিণতি কখনও ভাল হয় না বিধায় যত দ্রæত সম্ভব দেশনেত্রীকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে একজন নাগরিক হিসাবে তাঁকে রোগে সুচিকিৎসা পাওয়ার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেয়া হোক। অন্যথায় সরকারকে একজন গুরুত্বপূর্ণ, জনপ্রিয় প্রবীণ নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার না দিয়ে তাঁর প্রতি বেআইনী, অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরন করার জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে।