গভীর রাতে ডাবের আড়তে ভোক্তা, ‘হাতেনাতে ধরা’
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিট থেকে বুধবার (৩০ আগস্ট) ভোর ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর কারওয়ান বাজার, বেড়িবাঁধ ও যাত্রাবাড়ী এলাকার ডাবের পাইকারি আড়তে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: ডাবের মূল্য তদারকি করতে গভীর রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার আড়তে অভিযান পরিচালনা করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর। এসময় দুটি প্রতিষ্ঠানকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে, যারা ডাব ক্রয়-বিক্রিতে পাকা রশিদ সংরক্ষণ করছেন না এবং তালিকায় প্রদর্শন করা মূল্য অপেক্ষা বেশি মূল্যে ডাব বিক্রি করছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিট থেকে বুধবার (৩০ আগস্ট) ভোর ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর কারওয়ান বাজার, বেড়িবাঁধ ও যাত্রাবাড়ী এলাকার ডাবের পাইকারি আড়তে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
এবিষয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার) আতিয়া সুলতানা জানান, ২৯ আগস্ট রাত ১২টা ১৫ মিনিট থেকে ভোর ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ডাবের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল এবং প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শুরুতে কারওয়ান বাজারে পরিচালিত অভিযানে দেখা যায়, সেখানে ডাবের মূল্য তালিকা প্রদর্শন হলেও ডাব ক্রয়-বিক্রিতে পাকা রশিদ সংরক্ষণ করা হচ্ছে না এবং মূল্য তালিকায় প্রদর্শন করা মূল্য অপেক্ষা বেশি মূল্যে ডাব বিক্রি করা হয়েছে। আর এসব অপরাধে ২টি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরপর ভোরেই যাত্রাবাড়ী ডাবের আড়তে তদারকিতে গেলে আড়তদাররা জানান, এই আড়তে সকাল ৭টার সময় ডাব বিক্রি শুরু হবে। পরে বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযানে দেখা যায় ডাব বিক্রির ক্ষেত্রে কার্বন কপি ছাড়া রশিদ দেওয়া হয়েছে এবং বিক্রেতারা ডাব ক্রয়ের রশিদ দেখাতে পারেননি।
ভোক্তা অধিদপ্তর জানিয়েছে, খুচরা বাজারে যে মূল্যে ডাব বিক্রি হচ্ছে, আড়তে সেই দাম প্রায় অর্ধেক। এসব আড়তে ডাবের বিক্রি মূল্য ৪০ টাকা, ৫০ টাকা, ৭৫ টাকা, ৮০ টাকা এবং সবচেয়ে বড় বাছাই করা ডাব ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এসময় জনগণের স্বার্থে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই ধরনের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে বলেও ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।