প্রথম নিউজ , ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, নির্বাচন কমিশন এখন নির্বাচন পরিচালনা করে না, নির্বাচন করে সরকার। ক্ষমতায় থাকতে তারা প্রহসনের নির্বাচন করতে যাচ্ছে। একদলীয় বাকশাল সরকার গঠন করতে তারা বদ্ধ পরিকর। কিন্তু বিএনপি শান্তিপূর্ণ উদারনীতির রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, বিএনপি সংঘাত ও সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বিএনপি রাজপথে বুলেট মোকাবিলা করবে, শান্তি ভঙ্গ করবে না। দেশের মানুষ নিয়ন্ত্রকভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন আনবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।
আজ বুধবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে লিফলেট বিতরণ শেষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, এই ১৫ বছরে সরকার আমাদের ঋণ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে, তার দায়ভার চাপিয়ে দিয়েছে এই দেশের খেটে খাওয়া মানুষের ট্যাক্সের ওপরে। এই টাকা বিদেশে পাচার করে তারা কানাডায় বেগমপাড়া, দুবাই ও মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম গড়ে তুলেছে। দেশে রাজনীতির ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা পেতে মরিয়া। কারণ এই সরকার মেগা দুর্নীতি করে অবৈধ অর্থ-সম্পদ গড়ে তুলেছে। সেসব খবর দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
এ বিএনপি নেতা বলেন, আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের ২২টি পরিবার পূর্বপাকিস্তানের মানুষের সব সম্পদ কুক্ষিগত করে নিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছিল। আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, এই আওয়ামী বাকশাল সরকার ২২০ পরিবার তৈরি করে সবাই মিলে ১৮ কোটি মানুষের সম্পদ লুটে নিচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আজ দেশের মানুষ আজ ফুঁসে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, একসময় শেখ হাসিনা বলতেন ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো’। আজ তিনি যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে দেন না। তিনি বলেন ‘আমার ভোট আমি দেবো আগের রাতে ভোট দেবো’। আমি সরকার জিজ্ঞাসা করতে চাই, কেন তারা বলে ‘আমার ভোট আমি দোবো তোমার ভোট আমি দেবো’। তারা আগের রাতে ইচ্ছামতো সিল মারবে, ইচ্ছামতো কে কত ভোট পেয়েছে সেটা প্রকাশ করবে। এই নাটক আমরা মানি না।