কংগ্রেসম্যানদের চিঠি নিয়ে যে তথ্য জানালেন মার্কিন মুখপাত্র
বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশ বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের কাছে যে চিঠি লিখেছেন, সে সম্পর্কে অবগত নন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। তবে তিনি বলেছেন, সাধারণত এসব চিঠির উত্তর গোপনীয়ভাবে দেওয়া হয়। বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র। ম্যাথু মিলার বলেন, 'আমি চিঠির বিষয়টি অবগত নই। আমরা সাধারণত কংগ্রেসের সদস্যদের কাছ থেকে যে চিঠিগুলো পাই, সে বিষয়ে মন্তব্য করি না।' তিনি জানান, তারা সাধারণত গোপনীয়ভাবে তাদের উত্তর দেন, তবে তারা ব্যক্তিগতভাবে ও প্রকাশ্যে তাদের যে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করতে থাকবেন।
বাংলাদেশ নিয়ে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠি প্রত্যাখ্যান করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ১৯২ মার্কিন নাগরিক। তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে এ নিয়ে একটি পাল্টা আবেদনও পাঠিয়েছেন। ১৯২ মার্কিন বাংলাদেশির দাবি, ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের সংখ্যালঘু নির্যাতন, জঙ্গিবাদ ও অপরাধমূলক কোনো তথ্য না থাকায় তা পক্ষপাতদুষ্ট এবং অগ্রহণযোগ্য।
গত ১৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির ছয় কংগ্রেসম্যান সংখ্যালঘু সংখ্যা কমে যাওয়া ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি দেন। ওই চিঠিতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুর সংখ্যা কমে আসার তথ্যকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, অতিরঞ্জন ও এক পেশে বলে উল্লেখ করেছেন দেশটিতে বসবাসকারী ১৯২ মার্কিন বাংলাদেশি।
তাদের চিঠিতে বলা হয়েছে, ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে প্রকৃতপক্ষে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনকারী বিএনপি-জামায়াতকে আড়াল করা হয়েছে। বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে অর্থের বিনিময়ে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে বাংলাদেশের জনশুমারির তথ্য অনুযায়ী সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বীদের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, ২০২১-২২ জনশুমারি অনুযায়ী হিন্দু জনগোষ্ঠী ৬.৭ শতাংশ বেড়েছে, যা ১৯৯১ সালের পর এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
চিঠি দেওয়া ১৯২ জনের মধ্যে রয়েছেন-ড. নুরুন নবী, অধ্যাপক এবিএম নাসির, আবু আহমেদ মুসা, রানা হাসান মাহমুদ, ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।