‘ওরা ভালো খেলেছে আর আমরা খারাপ খেলেছি’
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হারের পর বাবর
প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক: খুবই অপ্রত্যাশিত, কিন্তু অনুপ্রেরণাদায়ক! ম্যাচ শেষ হতেই ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে ভেসে এলো লাইনটা। ঠিকই তো, টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ১৮তম যুক্তরাষ্ট্র হারিয়ে দিয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়ন ও গতবারের রানার্সআপ পাকিস্তানকে। অঘটন তো বটেই, বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বিস্ময়কর ফলগুলোর একটি। মূল ম্যাচে স্কোর ড্র হওয়ার পর খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও দাপট দেখিয়ে পাকিস্তানকে হারায় যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচ শেষে কোনো অযুহাত দেননি পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। সোজাসাপ্টা বলেন, ওরা ভালো খেলেছে আর আমরা খারাপ খেলেছি।
ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সুপার ওভারে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারায় যুক্তরাষ্ট্র। আগে ব্যাটিং করে ১৫৯ রান করে পাকিস্তান। লক্ষ্য তাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রও থামে একই রানে। এরপর সুপার ওভারে আগে ব্যাটিং করে ১৮ রান তোলে স্বাগতিকরা। জবাবে ১২ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হারের ব্যাখ্যায় বাবর বলেন, ‘এটা কোনো অজুহাত নয় যে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ভালো খেলেছে। আমরা খারাপ খেলেছি।’ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে পাকিস্তানের এই হার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরই অন্যতম বড় অঘটন। বাবর আজমও এমন মনে করেন। প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি হতাশ। তিন বিভাগেই আমরা ভালো খেলতে পারছি না।’
এমন হারের পর কেমন অনুভব করছেন জানতে চাওয়া হয় বাবরের কাছে। তখন তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, ভালো লাগছে না। ম্যাচ হারলে তো হতাশ লাগেই। আমরা দুই (তিন) বিভাগেই ভালো করতে পারিনি। ফিল্ডিং, বোলিং ও ব্যাটিং। প্রথম ৬ ওভারটা আমরা ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারিনি। পরে ১০ ওভার পর আমরা মোমেন্টাম পেয়েছি। তারপর দ্রুত কিছু উইকেট হারানোয় মোমেন্টাম হারিয়েছি। আমার মনে হয়, ব্যাটিং বিভাগ হিসেবে মাঝের ওভারগুলোয় এবং শেষে আমাদের ভালো করা প্রয়োজন।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে পাকিস্তান দল অতি-আত্মবিশ্বাসী ছিল কি না, সে প্রশ্নও করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। উত্তরে বাবর বলেন, ‘প্রথমে আমি ব্যাটিং নিয়ে বলব। প্রথম ৬ ওভারে বল একটু থেমে আসছিল ও সুইং করছিল। তবে আমরা জুটি গড়ার সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে...যখন আমরা টানা দুটি উইকেট হারিয়েছি, তখনই (ম্যাচের) মোড় ঘুরেছে।’ ‘শুরুটা কঠিন হলেও আমরা পুষিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু পেশাদার হিসেবে এমন পারফরম্যান্স কিংবা এমন দলের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে, বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোয় ভালো করতেই হয়। ’
জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে ২১ রান প্রয়োজন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটারদের এই রানের মধ্যেই আটকে ফেলার সামর্থ্য মোহাম্মদ আমির-হারিস রউফদের থাকলেও এদিন তারা পারেননি। শেষ ৩ বলে ১২ রান দরকার, ১১ রান নিয়ে ম্যাচ ড্র করে স্বাগতিকরা। শেষ দুই ওভারের পরিকল্পনা নিয়ে বাবর বলেন, ‘খুব সোজা পরিকল্পনা। আমরা ইয়র্কার মারার চেষ্টা করেছি। এই পরিকল্পনা আমরা পাল্টাইনি কারণ, বল রিভার্স সুইং করছিল এবং আমাদের বোলাররা ইয়র্কারে নিখুঁত ছিল। তাই পরিকল্পনা না পাল্টে অন্য কিছু না করে আমরা ইয়র্কারই মারার চেষ্টা করেছি।’