এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

 এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

প্রথম নিউজ, ঢাকা : নিয়মবহির্ভূতভাবে ঘনিষ্ট কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের একজন উপপরিচালকের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে অনুসন্ধান দল।

তমালের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধান করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে দুদকের একজন উপপরিচালক। চিঠির কপি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং ইন্সপেকশন বিভাগের কাছে চাওয়া হয়েছে চার ধরনের তথ্য।

বাংলাদেশ ব্যাংকে তমালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন ব্যাংকটির স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার তোহেল আহমেদ।

অভিযোগে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্টের সার্কুলারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তমাল পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়া ৩৮০০ কর্মকর্তা কর্মচারীকে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট না দিয়ে শুধু ২৭ জন কর্মকর্তাকে ৫ থেকে ১৩টি পর্যন্ত ইনক্রিমেন্ট দিয়েছেন।

তোহেল আহমেদ জানান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনটি ইনক্রিমেন্ট দিতে পারেন। এমডির পরবর্তী দুই ধাপের কর্মকর্তার ইনক্রিমেন্ট করার এখতিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নেই। অথচ এমডি নিয়মবহির্ভূতভাবে দুজন ডিএমডিকে ১০টি করে ইনক্রিমেন্ট দিয়েছেন, যা দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে বিরল।

এছাড়া তমালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংকটির প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ১৪৬৪ টাকা পাচারের অভিযোগ জানিয়েছেন ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরসাত আলী।

বাংলাদেশ ব্যাংকে দেওয়া অভিযোগে আলী জানান, তমাল ও তার পিএস আসিফ ইকবাল পরিচালকদের সভায় প্রতি বৈঠকে উপস্থিতি ফি ৭ হাজার ২০০ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হলেও তারা প্রতি বৈঠকে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত অন্যায়ভাবে গ্রহণ করছেন, যা ব্যাংক কোম্পানি আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। এছাড়া তমাল পারভেজ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মতিঝিল ও গুলশানে ২টি অফিস ব্যবহার করছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ব্যতিরেকে এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট নামক একটি বিধিবহির্ভূত প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন।

এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে তমালের যোগদানের পর নতুন কর্মচারী নিয়োগ, অনুগত কর্মচারীদের একাধিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান, নীতিমালা ভেঙে একাধিক অফিসে দাপ্তরিক কাজ করা, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি না নিয়ে এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট নামের প্রতিষ্ঠান স্থাপন, বোর্ড সভার নির্ধারিত সম্মানীর অতিরিক্ত অর্থ প্রদানসহ বিভিন্ন অনিয়ম বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ও ডেপুটি গর্ভনরের কাছে দাখিল করা অভিযোগের কোনো তদন্ত বা অডিট রিপোর্ট থাকলে তার সত্যায়িত কপি সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে।