এক দফা আন্দোলনে ‘মরণপণ’ লড়াইয়ের জন্য নেতা-কর্মীরা প্রস্তুতি নিয়েছে: খসরু
প্রথম নিউজ, ঢাকা: এক দফা আন্দোলনে ‘মরণপণ’ লড়াইয়ের জন্য নেতা-কর্মীরা প্রস্তুতি নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার সকালে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘‘ এটা(আন্দোলন) ক্ষমতার লড়াই না, দেশটাকে বাঁচানোর লড়াই, বাংলাদেশটাকে মুক্তির লড়াই। মুক্তিযুদ্ধের পরে এটা দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ চলছে।এটাকে মাথা রেখে জনগন আজকে রাস্তায় নেমেছে। এটার সফল সমাপ্তির জন্য জীবন দিতে হয়…. আমি মনে করি, আমাদের নেতা-কর্মীরা সেই পথে এসে পৌঁছেছে।”
‘‘ আমরা যেখানে গিয়েছি এই যে রোড মার্চ হয়ে গেলো গাড়ির দরজা ভেঙে ফেলতেছে… লোকজন বলছে, স্যার প্রোগ্রাম দেন, আমরা জীবন দিতে রাজী আছি। সুতরাং এরপর তো আর কিছু বলার থাকে না। যারা জীবন দেয় তাদের সাথে কেউ লড়াই করে কোনদিন জিততে পারে না।”
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য উদ্ধৃতি করে আমীর খসরু বলেন, ‘‘ আমাদের এই সংগ্রাম ৩৬ দলের ইস্যু নয়, এটা ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির সংগ্রামের ইস্যু। এটাকে মাথায় রেখে আমরা ৩১ দফা দিয়েছি যে, দেশকে আবার পূনর্গঠন করার জন্য, বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা সবাই মিলে ৩১ দফা দিয়েছি। আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে আজকে যারা দেশকে মুক্ত করার আন্দোলন করছে সবাই নিয়ে আমরা জাতীয় সরকার গঠন করব।”
‘‘ কারণ উনি বলেছেন, জাতি যে ক্রান্তি লগ্নে, জাতি যে গর্তের মধ্যে পড়েছে এই জাতিকে যদি উদ্ধার করতে হয় বিএনপি একা সরকার গঠন করে এর সমাধান দিতে পারবে না।এখানে জাতীয় ঐক্যের দরকার আছে। জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে আগে দেশকে বাঁচাতে হবে।”
দেশে গত ১৫ বছর ‘ভোট চুরির প্রকল্প’ করে সরকার ‘অবৈধভাবে’ ক্ষমতায় থাকার বিষয়গুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘ এবার আর এটা হতে দেয়া হবে না। জনগন এক হয়েছে, আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক বিশ্ এক হয়েছে।”
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সাগর-রুনি মিলনায়তে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের উদ্যোগে ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনই জাতীয় সংকট উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনের সভাপতি জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, নৈতিক সমাজের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আমসা আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক লুতফুর রহমান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।