এএসপি আনিস হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ১২ সেপ্টেম্বর

 এএসপি আনিস হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ১২ সেপ্টেম্বর

প্রথম নিউজ, ঢাকা : রাজধানীর আদাবরের একটি হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। 

এদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক লুৎফর কবির নয়ন নতুন এদিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ২৪ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন চেয়ে শুনানি করেন। অপর দিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন এসব তথ্য জানান।

গত বছর ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
 
আসামিরা হলেন- আরিফ মাহমুদ জয়, মো. মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, মো. তানভির হাসান, তানিফ মোল্লা, মো. সজীব চৌধুরী, শ্রী অসিম কুমার পাল, মো. লিটন আহম্মেদ, মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ, রেদুওয়ান সাব্বির ওরফে সজিব, ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, মো. সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন, মোছা. ফাতেমা খাতুন ময়না। 

এদিকে আসামি মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ মৃত্যুবরণ করায় ও আসামি ডা. নুশরাত ফারজানার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দানের আবেদন করা হয়। 
 
এএসপি আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৮ মার্চ ঢাকার আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

তবে এ মামলার আসামি ডা. নুসরাতের নাম অভিযোগপত্রে আসেনি। আনিসের পরিবারের ধারণা, ডা. নুসরাত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ জন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। পরে আদালত তা মঞ্জুর করে পিবিআইকে পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।