আলোচনার পরও হার্টের রিং বিক্রি বন্ধ, বিপাকে রোগীরা
চলমান এ অচলাবস্থার মধ্যে স্ট্যান্টের দাম পুনর্বিবেচনা করার দাবিতে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে ইউরোপিয়ান ২৪টি কোম্পানির প্রতিনিধি দল অধিপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: হার্টের স্ট্যান্টের (রিং) দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তবে দাম নির্ধারণে একপেশে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ তুলে স্ট্যান্ট বিক্রি বন্ধ রেখে আদালতে রিট করেছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
চলমান এ অচলাবস্থার মধ্যে স্ট্যান্টের দাম পুনর্বিবেচনা করার দাবিতে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে ইউরোপিয়ান ২৪টি কোম্পানির প্রতিনিধি দল অধিপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে তারা সাংবাদিকদের জানান, আজ আমরা আলোচনা করেছি। তবে সঠিক কোনো আশ্বাস পাইনি। এটি নিয়ে আলোচনা করতে তিনি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন। তবে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আমরা স্ট্যান্ট বিক্রি বন্ধ রাখবো। মানুষের খুবই ইমার্জেন্সিতে বিক্রি করা হবে।
এ নিয়ে ইপিক টেকনোলজির মালিক ওয়াসিম আহমেদ বলেন, টেকনিক্যাল কমিটি বিষয়টি দীর্ঘায়িত করলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। মহাপরিচালক কথা বললেও টেকনিক্যাল কমিটি এ বিষয় নিয়ে বসছে না। তারা বলছে নির্বাচনের পর বসতে পারে। তিনি বলেন, টেকনিক্যাল কমিটির বাইরে ব্যক্তিগতভাবে ডিজি কিছু করতে চাচ্ছেন না। উনি জানিয়েছেন, টেকনিক্যাল কমিটি যেভাবে বলবে সেভাবে হবে। সমাধান সেখান থেকেই আসবে।
‘আমরা চাই টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আমাদের আলোচনার মাঝে অভিভাবক হিসেবে মহাপরিচালক থাকুন। উনি আয়োজন করে এর ব্যবস্থা হোক। তিনি প্রয়োজনে সায়েন্টিফিক কিংবা ব্যবসায়িক কোথায় কী পার্থক্য, সেটা দেখুন।
আলোচনার আশ্বাস পেয়ে স্ট্যান্ট বিক্রি শুরু করবেন কি না, জানতে চাইলে ইউনিমেড লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার কবির বলেন, না। আমরা এ দামে স্ট্যান্ট বিক্রি করতে পারবো না। আমাদের যেসব পণ্য ৮০ হাজার টাকায় কেনা, হঠাৎ করে ৬০ হাজারে বিক্রি করতে পারবো না। লস কেউ করতে চাইবে না।
তিনি জানান, আমরা বিক্রি বন্ধ রাখবো। আমরা চাই মানুষ এবং আমাদের কথা চিন্তা করে দ্রুত একটা আলোচনা হোক। যেসব কোম্পানির স্ট্যান্টের দাম বাড়তি নির্ধারণ করা হয়েছে তাও একই রেটে নিয়ে আসুক। তাহলে সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে।