আনসার-ভিডিপির প্রথম নারী অতিরিক্ত মহাপরিচালক ফাতেমা সুলতানা
সোমবার বাহিনীর সদর দপ্তর অডিটোরিয়ামে তাকে র্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দেন বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রথম নারী অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন ফাতেম সুলতানা। সোমবার বাহিনীর সদর দপ্তর অডিটোরিয়ামে তাকে র্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দেন বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান। র্যাঙ্ক ব্যাজ পরিধান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপমহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল মো. নাজিম উদ্দিন এবং উপমহাপরিচালক (অপারেশনস) এ কে এম জিয়াউল আলম, বিভিন্ন পদবির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা।
ফাতেমা সুলতানা গত ২২ জুন উপ-মহাপরিচালক থেকে পদোন্নতি পেয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রথম নারী অতিরিক্ত মহাপরিচালক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তার এই পদোন্নতিতে বাহিনীতে আরেকটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। এর আগে তিনি ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আনসার সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৮ম বিসিএস এর মাধ্যমে ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর সহকারী পরিচালক হিসেবে আনসার ক্যাডারে যোগদান করেন তিনি। ঢাকা জেলায় সহকারী পরিচালক হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি সহকারী পরিচালক হিসেবে কুমিল্লা রেঞ্জ, সদর দপ্তরের যোগাযোগ, রেকর্ড (ব্যাটালিয়ন) ও প্রকল্প প্রশিক্ষণ শাখায় দায়িত্ব পালন করেন।
উপ-পরিচালক হিসেবে সদর দপ্তরের ভাণ্ডার, ভিডিপি প্রশিক্ষণ শাখা এবং আনসার-ভিডিপি একাডেমি, জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় নারায়ণগঞ্জ এবং ৩৩ আনসার ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করেন। পরিচালক হিসেবে সদর দপ্তরের আনসার প্রশিক্ষণ, সিএইচটি অপস্ শাখা এবং আনসার-ভিডিপি একাডেমিতে পরিচালক (সদর) এর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও উপমহাপরিচালক হিসেবে বাহিনীর রাজশাহী এবং ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ে রেঞ্জ কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদানের পর মৌলিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ, বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ এবং ইনফরমেশন নিড এন্ড সিস্টেম ডিজাইন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভাইটাল ইনস্টলেশন সিকিউরিটি কোর্স সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি জাপান ভ্রমণ করেন।
ফাতেমা সুলতানা চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার লুধুয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মরহুম সুলতান আহম্মেদ খান এবং বেগম জাহানারা খানের সন্তান। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত। তার স্বামী একজন ব্যাংকার ছিলেন এবং তিনি এক পুত্র সন্তানের জননী।