অরুণাচল প্রদেশে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি

অপ্রত্যাশিত পর্যায়ে সেনা মোতায়েন করেছে ভারত

অরুণাচল প্রদেশে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি
অরুণাচল প্রদেশে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি

প্রথম নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সেখানে অপ্রত্যাশিত পর্যায়ে সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, সীমান্তের পরিস্থিতি চীনকে ‘একতরফাভাবে পরিবর্তন’করতে দিতে পারে না ভারত। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। কয়েকদিন আগে অরুণাচল প্রদেশের একটি বিরোধপূর্ণ সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর এ মন্তব্য করলেন জয়শঙ্কর। ভারতের দাবি, চীনা সেনারা অনধিকার প্রবেশের কারণে সেখানে ‘এনকাউন্টার’ শুরু হয়। অন্যদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের জানামতে সীমান্ত পরিস্থিতি যথারীতি স্থিতিশীল। এ বিষয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত ও চীনের মধ্যে আছে অভিন্ন ৩৪৪০ কিলোমিটার সীমান্ত। একে বলা হয় লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা। এসব সীমান্ত যথার্থভাবে চিহ্নিত করা হয়নি। ফলে এসব স্থানে বিভিন্ন পয়েন্টে একপক্ষের সেনাবাহিনী অন্য পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায় মাঝেমাঝেই। এতে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় তা সংঘর্ষ বা সংঘাতে পরিণত হয়। একই অবস্থা ২০২০ সালের জুনে সৃষ্টি হয় লাদাখ অঞ্চলের গ্যালওয়ান উপত্যকায়। সে সময় সেখানে সহিংস হাতাহাতি হয়। এতে ভারতের কমপক্ষে ২০ সেনা সদস্য এবং চীনের চারজন নিহত হন। তারপর থেকেই উভয় পক্ষ উত্তেজনা হ্রাসের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

এরই মধ্যে সর্বশেষ সংঘর্ষ হয় কমপক্ষে এক বছরের মধ্যে। গত ৯ই ডিসেম্বর এই সংঘর্ষে কয়েকজন সেনা সদস্য সামান্য আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে উভয়পক্ষ ওই এলাকা থেকে সরে যায় বলে জানায় ভারতের সেনাবাহিনী। সোমবার ইন্ডিয়া টুডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় এস জয়শঙ্কর ওই ঘটনা সম্পর্কে উত্তর দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, বর্তমানে চীন সীমান্তে ভারতীয় সেনা মোতায়েন আছে। আগে এত সেনা মোতায়েন করিনি কখনো আমরা। চীনের আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য এটা করা হয়েছে। ভারতের সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা একতরফাভাবে পাল্টে দেয়ার যেকোনো উদ্যোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।  তার এ মন্তব্যের কোনো জবাব দেয়নি চীন। তবে সর্বশেষ এই ঘটনায় ভারতের ভিতরে গত সপ্তাহে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে। বিরোধী দলগুলো পার্লামেন্ট থেকে ওয়াকআউট করে। কারণ, তারা ওই পরিস্থিতি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পার্লামেন্টে আলোচনা চেয়েছিলেন। তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। চীনের হুমকি সরকার অগ্রাহ্য করছে বলে অভিযোগ করেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি অভিযোগ করেন, চীনের সেনারা সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের মারধর করছে। 

এর জবাবে সোমবার এস জয়শঙ্কর পার্লামেন্টে বক্তব্যে বলেন, রাহুল গান্ধীর মন্তব্য ভারতীয় সেনাদের জন্য অসম্মানজনক। এক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখানোর অভিযোগ তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। জয়শঙ্কর প্রশ্ন রাখেন- যদি আমরা চীনের প্রতি উদাসীন হতাম তাহলে সীমান্তে কে ভারতীয় সেনাদের পাঠিয়েছে? আমরা যদি চীনের প্রতি উদাসীন হতাম তাহলে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কে চাপ দিতো চীনকে? 

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom