‘অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটেই নিশ্চিত হতে পারে ইইউ’র জিএসপি প্লাস সুবিধা’
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে চার্লস হোয়াইটলি একথা বলেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে ইউরোপের বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা নিশ্চিত হতে পারে। তবে এর জন্য মানতে হবে বেশকিছু শর্ত। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। চার্লস হোয়াইটলি বলেন, যদি নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয় তবে তা দারুণ ইতিবাচক সিগন্যাল দেবে যে বাংলাদেশ জিএসপি প্লাসের জন্য প্রস্তুত। কারণ নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ওপর আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী সবার নূন্যতম নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার থাকতে হবে।
তিনি জানান, আগামী ৮ই জুলাই ১৩ দিনের মিশনে বাংলাদেশে আসছে নির্বাচন পূর্ব পর্যবেক্ষক দল। তারা রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ সবার সঙ্গে কথা বলবে। এখানের পরিবেশ ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবে। শুধু ব্যালট বাক্স ও ভোটিং পদ্ধতির স্বচ্ছতাই দেখবে না। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভিসানীতিতে নেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রাজনৈতিক সংকট কাটাতে আলোচনাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে ইইউ। অস্ত্র ছাড়া ইউরোপে শুল্ক ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা পায় বাংলাদেশ।
দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশই যায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। স্বল্পন্নোত দেশ থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে, ২০২৯ সালে জিএসপি সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। এ সুবিধা হারালেও জিএসপি প্লাস নামে আরেকটি নতুন সুবিধা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। যাতে মিলবে জিএসপি’র মতো প্রায় একইরকম সুবিধা। কিন্তু, এ জন্য মানতে হবে ৩২টি শর্ত।
যার অন্যতম শর্ত হলো সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন প্রধান বলেন, মার্কিনিরা তাদের নীতি গ্রহণ করেছে, আমাদেরটা ভিন্ন। আমরা নির্বাচনী পূর্ব মিশনে গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে আমার বিশ্বাস রাজনৈতিক দলগুলো জানে নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা। কোন দল অংশ নেবে একান্তই তাদের পছন্দ। যদি কোনো অবিশ্বাস থাকে তবে সংলাপে বসতে পারে।