৯ দিন পর পরিচয় মিলল মায়ের লাশের পাশে পরে থাকা শিশুর
শুক্রবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স জাকিয়া সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রথম নিউজ, ময়মনসিংহ: চেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশুটির। শিশুটির নাম আলিফ মিয়া (২)। আলিফ ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দাপুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল মনসুরের ছেলে। তার নিহত মায়ের নাম আনোয়ারা বেগম। আনোয়ারা বেগম আবুল মনসুরের দ্বিতীয় স্ত্রী। শুক্রবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স জাকিয়া সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার আলিফের খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তার স্বজনরা। এ সময় শিশু আলিফ তার বড় বোন হাসি আক্তারের কোলে পরম মমতায় দীর্ঘ সময় কাটায়। আলিফ এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয়। কোনো কথা বলছে না। তবে সে আশঙ্কামুক্ত।
আলিফের বোন হাসি আক্তার ও তার স্বজনরা জানান, আলিফের বাবা আবুল মনসুর পেশায় একজন মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী। তার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ায় তিনি আলিফের মা আনোয়ারাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। গত ২৮ মে আনোয়ারা তার সন্তান আলিফকে সঙ্গে নিয়ে মুক্তাগাছা বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরদিন নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার কাছিয়াকান্দা গ্রামের মেঠোপথে পাওয়া যায় আনোয়ারার মরদেহ।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, গণমাধ্যম ও ফেসবুকে শিশুটির ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর তার পরিচয় জানা গেছে। এ ঘটনায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. তারিকুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
তিনি জানান, ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত ও হত্যার রহস্য উদঘাটনে নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদের নির্দেশে জেলা পুলিশের সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী সাদিককে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।