সরকার বদল হলে পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত: খসরু

জাপানী রাষ্ট্রদূতের সাথে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক 

সরকার বদল হলে পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত: খসরু

প্রথম নিউজ, ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সাথে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রবিবার বেলা দশটায় এই বৈঠক হয়। এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক প্রসঙ্গে  আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ জাপানের সাথে সম্পর্ক বহু পুরোনো। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অনেক ভালো। বিএনপি সরকারের সময় বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ এদেশে করেছে। সম্পর্ক উচ্চমাত্রায় ছিল। সরকার বদল হলেও যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছেন, তাদের অনেক ব্যবসা রয়েছে, বিনিয়োগ রয়েছে এই দেশে সেজন্য তারা উদ্বেগের মধ্যে আছে। বর্তমানে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, নির্বাচন নিয়ে সবার কনসার্ন রয়েছে। শঙ্কামুক্ত হবার জন্য বিদেশী কূটনীতিকরা জানতে চাইছেন এখানে পরিবেশ কেমন, সামনে কেমন হবে।

সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশে সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করছে। সে বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকে। আপনারা জাপানকে কি জানিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা বলা যাবে না। 

"সবার মধ্যে একটা আশঙ্কা ও শঙ্কা কাজ করছে। বাংলাদেশের যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাতে তো জাপান জানতে চাইতেই পারে যে, কি হচ্ছে আগামীতে। আমীর খসরু বলেন, সারাবিশ্বের গণতান্ত্রিকামি দেশগুলো বাংলাদেশ নির্বাচন নিয়ে তাদের কথা বলেছেন। জাপান তো কোন আলাদা দেশ না। তারা তাদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করে যাচ্ছেন । বাংলাদেশে যেনো একটা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে ২০ ঘন্টার জার্নি করে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় যাবো না অন্য অনেক মহাসাগর ও দেশ আছে, সেখানে যাবো- এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন , উনি আমেরিকা যাবেন কিনা সেটা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ কোথায় যাবে সেটা তাদের ব্যাপার। একটা জাতি কোথায় যাবে, না যাবে এটাতো কোন প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিতে পারে ? এটাতো বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই। বাংলাদেশের জনগণ কোথায় যাবে, যাবে না এটা এদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটা তো কোন প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।