সন্ধ্যায় হুমকি, মধ্যরাতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

এর আগে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় বাবর আলীকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।

সন্ধ্যায় হুমকি, মধ্যরাতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম নিউজ, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ধান্যঘরায় বাবর আলী (৪৫) নামে এক ফল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় বাবর আলীকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। নিহত বাবর আলী দামুড়হুদা উপজেলার কুরুলগাছী ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত. আব্দুল সাত্তারের ছেলে।

নিহতের স্ত্রী মহিমা খাতুন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয়ে তিন ব্যক্তি আমার স্বামীকে খুঁজতে আসেন। বাড়িতে না থাকায় তার নম্বর চান তারা। আমি নম্বর দিতে না পারায় তারা চলে যান। রাতে আমি ও আমার ছেলে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলাম। আমার স্বামী বারান্দায় ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয়ে ওই ব্যক্তিরা বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে আমরা বাইরে বের হলে তারা পালিয়ে যায়।

বাবর আলীর সাথে কারো কোন দ্বন্দ্ব আছে কি না জানতে চাইলে তার স্ত্রীর মহিমা খাতুন বলেন, আমার স্বামী বিভিন্ন বাগান থেকে লিচু ক্রয় করে স্থানীয় কার্পাসডাঙ্গা বাজারে বিক্রি করতেন। তার ভালো বেচাকেনা হতো বলে বাজারের অনেক ব্যবসায়ীরা তাকে ভালো চোখে দেখতেন না। এছাড়া আমার স্বামী কয়েকটি লিচু বাগান কেনা বাবদ চার লাখ টাকাও দিয়েছিলেন। সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিল না তারা। চাইলে হুমকি ধমকি দিত। কী কারণে, কে বা কারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে তা জানি না।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, গলার বাম পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার প্রধান ধমনী কেটে গেছে। জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রাথমিকভাবে কোনো কিছুই জানা যায়নি।