সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ কর্মীসহ নিহত ৩৩

বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহত ও দগ্ধ আরও ২ শতাধিক মানুষ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ কর্মীসহ নিহত ৩৩
ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

প্রথম নিউজ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় বিএম নামের একটি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। দগ্ধ ও আহতের সংখ্যা চারশ ছাড়িয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

সবশেষ খবর অনুযায়ী আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে। দগ্ধ ও আহতদের মধ্যে ১৯ জনকে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৪৩ জন এবং পুলিশের ১৩ সদস্য রয়েছেন।

এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণ অভিযানে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল। আজ রবিবার (৫ জুন) সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এসে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা, আগুন যাতে আর ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য সেনাবাহিনীর ১৫০ থেকে ২০০ সদস্য অভিযানে অংশ নেবেন।’

ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছেন।  ঘটনাস্থলে থাকা চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর ১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘কন্টেইনার ডিপোটিতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রয়েছে। আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আমাদের কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞরা ফায়ার সার্ভিস সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’

শনিবার রাত ৯টার লোড-ইয়ার্ডে রাসায়নিক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রথমদিকে আগুনের ভয়াবহতা সম্পর্কে বুঝে উঠতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ও ডিপোর কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাছ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন। ডিপোর কর্মীদের কেউ কেউ আগুনের দৃশ্য ভিডিও করছিলেন। রাত ১১টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে তাদের অনেকেই আগুনে তলিয়ে যান। 

চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের সীতাকুণ্ডের কেশবপুরে অবস্থিত এই ডিপোটি নেদারল্যান্ডস-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত। ২০১১ সালের মাঝামাঝিতে চালু হওয়া এই ডিপোটি দেশের অন্যতম বড় ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো-আইসিডি হিসেবে পরিচিত। a

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল থেকে জানান, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৩ জন কর্মী রয়েছে। আহতদের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় দগ্ধ ও আহতদের নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাই তাদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিসের হিসাব অনুযায়ী ২ শতিাধিক মানুষ আহত ও দগ্ধ হয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে চাইলে ডিআইজি বলেন, 'এখনো আগুন পুরোপুরি না নেভায় ভেতরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এখনই সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।'

চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের সীতাকুণ্ডের কেশবপুরে অবস্থিত এই ডিপোটি নেদারল্যান্ডস-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত। ২০১১ সালের মাঝামাঝিতে চালু হওয়া এই ডিপোটি দেশের অন্যতম বড় ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো-আইসিডি হিসেবে পরিচিত। 

শনিবার রাত ৯টার লোড-ইয়ার্ডে রাসায়নিক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রথমদিকে আগুনের ভয়াবহতা সম্পর্কে বুঝে উঠতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ও ডিপোর কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাছ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন। ডিপোর কর্মীদের কেউ কেউ আগুনের দৃশ্য ভিডিও করছিলেন। রাত ১১টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে তাদের অনেকেই আগুনে তলিয়ে যান। 

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom