লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় জেনারেটরের চাহিদা বাড়ছে

লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় দেশের সর্বত্র জেনারেটর আর আইপিএস বিক্রির ধুম পড়েছে

লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় জেনারেটরের চাহিদা বাড়ছে
লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় জেনারেটরের চাহিদা বাড়ছে

প্রথম নিউজ, ঢাকা : লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় দেশের সর্বত্র জেনারেটর আর আইপিএস বিক্রির ধুম পড়েছে।সবচেয়ে বেশি জেনারেটর বিক্রি হচ্ছে আবাসিক ভবন আর শিল্প কল-কারখানায়।

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কারখানার মালিকদের কাছে এখন একমাত্র ভরসা জেনারেটর। দেশের সবচেয়ে বড় জেনারেটর উৎপাদনকারী কোম্পানি এনার্জিপ্যাক জানিয়েছে তারা ইতোমধ্যে ডিজেল জেনারেটরের ১ হাজার ইউনিট বিক্রির মাইলফলক অর্জন করেছে।

২০১৫ সালে তারা এই জেনারেটর তৈরি করা শুরু করেছিল।সম্প্রতি কোম্পানিটি তাদের গাজীপুরস্থ শ্রীপুরের অ্যাসেম্বলিং কারখানায় ১ হাজার ইউনিট জেনারেটর বিক্রির ফুর্তি উৎযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান।

এনার্জিপ্যাকের চিফ বিজনেস অফিসার মাসুম পারভেজ বলেন, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু এখনো শিল্প কারখানার মালিকরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে তাদের জেনারেটের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।যার কারণে দেশব্যাপী জেনারেটরের চাহিদা বেড়েছে।  

তিনি বলেন, এনার্জিপ্যাক ১৯৯৫ সাল থেকে দেশের জেনারেটর শিল্পে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।তাদের কারখানায় বছরে ২০ কেভিএ (কিলোভোল্ট অ্যাপ্পিয়ার) থেকে ১২৫০ কেভিএ পর্যন্ত ৫০০টি জেনারেটর একত্রিত করার ক্ষমতা রয়েছে।

ইপিজিএল বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র কোম্পানি যা মেড ইন বাংলাদেশ লেখা ‘গ্ল্যাড’ নামের জেনারেটর উৎপাদন করছে। এ পর্যন্ত কোম্পানিটি ৮ হাজার ইউনিট ‘গ্ল্যাড’ জেনারেটর বিক্রি করেছে। এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে গ্ল্যাড জেনারেটর রপ্তানি করতে চায় এনার্জিপ্যাক।

গ্ল্যাড-এর নামকরণ মূলত 'বাংলাদেশ' শব্দটির মধ্যম অংশ থেকে ৪টি শব্দ নিয়ে করা হয়েছে।দেশপ্রেমের স্বাক্ষরস্বরূপ ২০১৫ সাল থেকে এনার্জিপ্যাক স্থানীয় বাজারের জন্য এই ডিজেল জেনেরেটরটি উৎপাদন করে আসছে।

গ্ল্যাড জেনারেটর তৈরি হয় বিশ্বখ্যাত পার্কিনস ইঞ্জিন, স্ট্যামফোর্ড/লেরয়-সোমার অল্টার্নেটর এবং উডওয়ার্ড, ডিপ সি বা কমঅ্যাপের মতো সুপরিচিত কন্ট্রোলার দিয়ে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: