ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ৭

গতকাল বেলা ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদীয়া ইউনিয়নের চরবড়বিলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ৭

প্রথম নিউজ, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক পরিবারের তিনজনসহ ঘটনাস্থলেই ৭ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদীয়া ইউনিয়নের চরবড়বিলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, তারাকান্দার দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি আরেকটি গাড়ি ওভারটেক করতে গিয়ে শেরপুরগামী একটি বাসের সামনে পড়ে। এ সময় বাসটি চাপা দিলে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে অটোরিকশায় থাকা নারী-শিশুসহ সাত যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা  গেছে। তারা হলেন- ফুলপুর উপজেলার চর আশাবট গ্রামের বাবলু (৫৫), তার স্ত্রী শীলা (৪০) ও ছেলে সাদমান (১০)। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত বাকি চারজনের পরিচয় জানা যায়নি। তবে অজ্ঞাতদের মধ্যে একজন সিএনজিচালক বলে জানিয়েছেন  কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি, তদন্ত মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাস ও অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে।

শেরপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এই দুর্ঘটনায় দুই পাশের অসংখ্য যান আটকা পড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সড়কের যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। 
জানাজায় অংশ নেয়া হলো না বাবলু মিয়ার পরিবারের 

তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের চর ঈশ্বরদীয়া গ্রামে এক আত্মীয়র মৃত্যুর সংবাদ শুনে স্ত্রী শিলা আক্তার (৪২) ও শিশুসন্তান সাদমান (১০)সহ বাবলু মিয়া জানাজার নামাজে শরিক হওয়ার উদ্দেশ্যে ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজি আটোরিকশাযোগে শম্ভুগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন। 

নিহত বাবলু মিয়া ফুলপুর উপজেলার আশাবট গ্রামের আব্দুল করিম মাস্টারের পুত্র। তিনি পরিবার নিয়ে ফুলপুর পৌর এলাকায় বসবাস করে ব্যবসা করতেন। বাবলু মিয়ার ভাইরাভাই ও শিলা আক্তারের ভগ্নিপতি বানিহালা উচ্চ বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল মুনসুর জানান, নিহতদের মরদেহ পুলিশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তর করলে নিহতদের  নিজ বাড়িতে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।