মরক্কান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেমিফাইনাল দেখলেন বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ওয়াশিংটনে আফ্রিকান নেতাদের বৈঠক ছিল বুধবার

 মরক্কান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেমিফাইনাল দেখলেন বাইডেন
 মরক্কান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেমিফাইনাল দেখলেন বাইডেন-প্রথম নিউজ

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ওয়াশিংটনে আফ্রিকান নেতাদের বৈঠক ছিল বুধবার (১৪ ডিসেম্বর)। একই সময় শুরু হতে যাচ্ছিল মরক্কো ও ফ্রান্সের মধ্যে ফুটবল বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা। প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে এতদূর এসেছে মরক্কো। স্বভাবতই উৎফুল্ল ছিলেন মরক্কোর প্রধানমন্ত্রীসহ আফ্রিকান নেতারা। শরীরটা যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও তাদের মন পড়েছিল কাতারের স্টেডিয়ামে। বিষয়টি বুঝতে পারেন বাইডেন। তাই তো বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে অতিথিদের সঙ্গেই খেলা দেখতে শুরু করেন তিনি।

এদিন ওয়াশিংটনে উপস্থিত হয়েছিলেন আফ্রিকার একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। তাদের উদ্দেশ্যে কৌতুক করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি জানি, আপনারা মনে মনে বলছেন, বক্তব্য ছোট করুন বাইডেন, সেমিফাইনাল শুরু হতে যাচ্ছে’।

তার এ কথায় হেসে ওঠেন উপস্থিত নেতারা। বাইডেনও হাসতে হাসতে বলেন, তিনি জলবায়ু দূত জন কেরিকে তার কথায় সম্মতিসূচক মাথা নাড়তে দেখেছেন।

কথাগুলো ব্যঙ্গ করে বললেও শেষপর্যন্ত কাজে সেটাই করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। খেলা শুরুর হওয়ার পরপরই বক্তব্য শেষ করে মরক্কান প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখানউচ ও অন্য আফ্রিকান নেতাদের সঙ্গে টেলিভিশনের সামনে বসে যান বাইডেন।

এবারের বিশ্বকাপে একের পর এক চমক দেখিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছায় মরক্কো। তবে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৩-১ গোলে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। তবে হারলেও সবার মন জিতে নিয়েছেন মরক্কান ফুটবলাররা। পুরো ম্যাচে দাপটের সঙ্গে খেলে মাথা উঁচু করে মাঠ থেকে বিদায় নিয়েছেন তারা। তাদের এমন পারফরম্যান্স প্রশংসা পাচ্ছে সবার কাছ থেকে।

আগামী ১৮ ডিসেম্বর ফাইনালে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে ফ্রান্স।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom