বুয়েট ক্যাম্পাসে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের কর্মসূচি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুয়েটের সেমিনার হলে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের ব্যানারে আজ এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
প্রথম নিউজ, ঢাকা : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে ক্যাম্পাস ছেড়ে গেছেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুয়েটের সেমিনার হলে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের ব্যানারে আজ এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে সেটি ঠিকমতো শেষ করতে পারেননি আয়োজকরা। ২০১৯ সালের ৭ই অক্টোবর ছাত্রলীগের কর্মীদের নির্মম নির্যাতনে বুয়েটের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদের মৃত্যু হয়। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদের তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির মুখে সে বছরের ১১ অক্টোবর ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হয় সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি। এরপর থেকে বুয়েটে ছাত্রলীগসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের তৎপরতা গত কয়েক বছর একেবারেই স্থিমিত ছিল। ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা বুয়েটে শোকসভার কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। আজ শনিবার বিকেল ৬টার দিকে এ সভা শুরু হয়। তবে সভা শুরুর পরপরই এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করার সিদ্ধান্ত নেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত অনুষ্ঠান শেষে করে সেখান থেকে চলে যান ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বুয়েটের শহীদ মিনারে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বুয়েট অডিটোরিয়ামের সামনে ব্রিফ করেন। এদিকে,শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণ পর বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন। ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করলেও তাতে ফল মেলেনি। শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, বঙ্গবন্ধু শোকসভা করা নিয়ে তাদের কোন আপত্তি নেই, সেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও করেছে।তবে সে শোক সভা ছাত্রলীগের ব্যানারে কেন করতে হবে? ছাত্রলীগ নেতারা নিজেদের ৭০-৮০ দশকের সাবেক বলে অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার অনুরোধ করলেও তাতে শিক্ষার্থীরা সাড়া দেয়নি। বাধ্য হয়ে ছাত্রলীগের সাবেক ওই সাধারণ সম্পাদক ও বাকি নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক (ডি এস ডব্লিউ) অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, বলা যায়, তারা আমাদের থেকে অনুমতি নিয়েছে, আবার নেয়ও নি। অনুমতি নেওয়ার সময় জানিয়েছে, তারা সাবেক শিক্ষার্থী, পুনর্মিলনী করবে ক্যাম্পাসে। সে কারণে আমরা অনুমতি দেই। কিন্তু তারা বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের ব্যানারে প্রোগ্রাম করতে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। তিনি বলেন, আমরা যদি জানতাম তারা বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ, তাহলে অনুমতিই দিতাম না। তাই শিক্ষার্থীদের বিক্ষুব্দ হওয়ার অধিকার আছে। আমি এই মুহূর্তে ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। নইলে স্পটে যেতাম। কাল সকালে আমরা শিক্ষার্থীদের কথা শুনব। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে ক্যাম্পাস ছেড়ে গেছেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুয়েটের সেমিনার হলে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের ব্যানারে আজ এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে সেটি ঠিকমতো শেষ করতে পারেননি আয়োজকরা। ২০১৯ সালের ৭ই অক্টোবর ছাত্রলীগের কর্মীদের নির্মম নির্যাতনে বুয়েটের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদের মৃত্যু হয়। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদের তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির মুখে সে বছরের ১১ অক্টোবর ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হয় সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি। এরপর থেকে বুয়েটে ছাত্রলীগসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের তৎপরতা গত কয়েক বছর একেবারেই স্থিমিত ছিল। ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা বুয়েটে শোকসভার কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়।
আজ শনিবার বিকেল ৬টার দিকে এ সভা শুরু হয়। তবে সভা শুরুর পরপরই এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করার সিদ্ধান্ত নেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত অনুষ্ঠান শেষে করে সেখান থেকে চলে যান ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বুয়েটের শহীদ মিনারে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বুয়েট অডিটোরিয়ামের সামনে ব্রিফ করেন।এদিকে,শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণ পর বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন। ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করলেও তাতে ফল মেলেনি। শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, বঙ্গবন্ধু শোকসভা করা নিয়ে তাদের কোন আপত্তি নেই, সেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও করেছে।তবে সে শোক সভা ছাত্রলীগের ব্যানারে কেন করতে হবে? ছাত্রলীগ নেতারা নিজেদের ৭০-৮০ দশকের সাবেক বলে অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার অনুরোধ করলেও তাতে শিক্ষার্থীরা সাড়া দেয়নি। বাধ্য হয়ে ছাত্রলীগের সাবেক ওই সাধারণ সম্পাদক ও বাকি নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক (ডি এস ডব্লিউ) অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, বলা যায়, তারা আমাদের থেকে অনুমতি নিয়েছে, আবার নেয়ও নি। অনুমতি নেওয়ার সময় জানিয়েছে, তারা সাবেক শিক্ষার্থী, পুনর্মিলনী করবে ক্যাম্পাসে। সে কারণে আমরা অনুমতি দেই। কিন্তু তারা বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের ব্যানারে প্রোগ্রাম করতে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। তিনি বলেন, আমরা যদি জানতাম তারা বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ, তাহলে অনুমতিই দিতাম না। তাই শিক্ষার্থীদের বিক্ষুব্দ হওয়ার অধিকার আছে। আমি এই মুহূর্তে ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। নইলে স্পটে যেতাম। কাল সকালে আমরা শিক্ষার্থীদের কথা শুনব।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews