বাড়াবাড়ি করলে সরকারকেই দায় নিতে হবে- মির্জা ফখরুল

গতকাল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের স্থায়ী  কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

বাড়াবাড়ি করলে সরকারকেই দায় নিতে হবে- মির্জা ফখরুল

প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি’র মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে। গতকাল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের স্থায়ী  কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাই। ডিএমপির চিঠির মধ্যদিয়ে এটা আমরা বলেও দিয়েছি। আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে এই মহাসমাবেশ করবো। আমাদের মহাসমাবেশে উদ্দেশ্যই হচ্ছে যে, সরকারকে (পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা) চাপ দেয়া এবং বাধ্য করার চেষ্টা করা। সরকার যেন তার সম্বিত ফিরে পায়, শুভবুদ্ধির ‍উদয় হয় এবং তারা একদফা দাবি মেনে নিয়ে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটা নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে, নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নেই।

একাধিক জোট ও দলের কর্মসূচি থাকায় বিএনপি কোনো ধরনের সংঘাতের শঙ্কা করছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো আশঙ্কা করছি না। আমাদেরটা (মহাসমাবেশ) আমরা করবো। আর ডিএমপি থেকে এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি পাইনি। আমরা এখনো আশা করবো, এ ব্যাপারে তারা কোনো বাধা সৃষ্টি করবেন না। শনিবার মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানে সব রকমের বাধা-বিপত্তিকে দূর করতে তারা সহযোগিতা করবেন। 

সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি। সরকার এবং রুলিং পার্টি যদি কোনো রকমের বাড়াবাড়ি করে, অত্যাচার ও নির্যাতন করে তার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। আপনারা বলেছেন, সরকারি দল লাঠির কথা বলেছে। এগুলো উস্কানিমূলক। আসলে পুরো ব্যাপারটাই একটা প্রভোগেশন চলছে। তাদের সরকার প্রধান একরকম বলছে, অন্যদিকে তারা (প্রশাসন) পুরো জনগণকে জিম্মি করে ফেলতে চাইছে তাদের দমননীতি দিয়ে।

দেশের মানুষকে মহাসমাবেশ যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের উদাত্ত আহ্বান, বিএনপি’র পক্ষ থেকে আমাদের আহ্বান- আপনারা আসুন শনিবার আমাদের এই মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিন- না, আর নয়। যথেষ্ট হয়েছে, এদেশের মানুষের ওপরে অত্যাচার ও নির্যাতন নয়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মিথ্যা মামলার অজুহাতে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নেতাকর্মীদের নামে মামলা হয়েছে ৪১৮টি, গ্রেপ্তার হয়েছে ৪ হাজার ২০ জন।

তৈরি পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ৮ হাজার থেকে বৃদ্ধি করে ২৩ হাজার টাকা করার দাবি যৌক্তিক উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তৈরি পোশাক শ্রমিকদের দাবিকে ন্যায্য বলে মনে করি এবং তাদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করছি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।