বাড়ছে যমুনার পানি, অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন
আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও ফসলী জমি। এ ছাড়াও পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত দুই দিনে শাহজাদপুর উপজেলা কৈজুড়ী ইউনিয়নের হাটপাচিল এলাকায় নদী ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে এলাকাবাসী দাবি করেছেন। এ ছাড়া ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও শতাধিক ঘরবাড়ি, বসতভিটা, ফসলী জমি। ভাঙনের মুখে থাকা বাড়িঘরের আসবাপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন এলাকাবাসী। যমুনার গর্ভে সহায় সম্বল হারিয়ে অনেকে খোলা আকাশের নিচে ও অন্যের জমিতে বসবাস করছেন।
এদিকে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অভ্যন্তরীণ, হুড়াসাগর, করতোয়া, ফুলজোড় ও বড়াল নদীতে পানি বাড়ছে। তবে নদ-নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুজ্জামান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমার ১ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনা নদীর পানি আরও দু-তিন দিন বাড়তে পারে বলে জানিয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, যমুনার পানি আরও দুই থেকে তিন দিন বাড়তে পারে। তারপরে পানি কয়েক দিন কমবে এবং তারপরে আবারও বাড়বে। এবার যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে গেলেও অতিক্রম করার সম্ভাবনা নেই। শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ভাঙনরোধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। এতে কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে এনায়েতপুর খাঁজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শুরু করে শাহজাদপুর উপজেলার পাচিল পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছেন। এ ছাড়া চৌহালীতে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার কাজ চলছে।