‘বিএনপি টিকা নিয়ে অনেক বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছে’ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
প্রথম নিউজ, মানিকগঞ্জ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্য বিষয় নিয়ে বিএনপি অনেক বিভ্রান্তমূলক কথা বলেছে। বিভ্রান্ত হলে এই দেশে আরও অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করবে। মানুষকে ভালোবাসলে স্বাস্থ্য বিষয় নিয়ে কখনও কেউ বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয় না। কিন্তু আমরা দেখেছি বিএনপি টিকা নিয়ে বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়িয়েছে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, সামনে নির্বাচন আছে, আপনারা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। মানিকগঞ্জবাসী কি সেবা পেয়েছে, কি উন্নয়ন পেয়েছে তারা তা জানে। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা যাতে বজায় থাকে আপনাদের কাছে এই আশা রাখছি। আপনারা ভোটের মাধ্যমে আবারও সেই সুযোগ করে দেবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন। তিনি মা-বোনদের বিষয়টা বেশি দেখেন। আজকে মেয়ের জন্য বিনামূল্যে বই বিতরণ করা, চাকরিতে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে আজকে নারীরা কাজ করছেন। দেশের উন্নয়নে নারীদের ভূমিকা অনেক। যা আগে ছিল না। এ বছর এমবিবিএস এ ৭০ ভাগ মেয়েরা ভর্তি হয়েছেন। তারা ডাক্তার হবে। আমারা প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার ডাক্তার নিয়েছি, সেখানেও ৭০ শতাংশ মেয়েরা উত্তীর্ণ হয়েছে। একেই বলে নারীর ক্ষমতায়ন, যা শেখ হাসিনা করেছেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জাহিদ মালেক বলেন, নিজেকে সুস্থ রাখতে, সঠিকভাবে শরীর চর্চা করতে হবে। শরীর ভালো থাকলেই তো ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারবে। মেয়েদের বলতে চাই, কারা এই টিকার ব্যবস্থা করছে, কারা এই টিকা বিনামূল্যে দিচ্ছে, এটি জানতে হবে। স্কুলের মেয়েরা তোমাদের মূল কাজ হবে তোমাদের মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন যারা ভোটার তাদেরক সামনের নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ভোট দিতে বলবে। নৌকায় ভোট দিতে বলবে। দ্বিধা করলে চলবে না, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই দেশ স্বাধীন করেছে আওয়ামী লীগ। দেশের জন্য রক্ত দিয়েছে নৌকা মার্কা। কাজেই শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষতমতায় আনতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, স্কুলের ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সী মেয়েদের এক ডোজ জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ টিকা দেওয়া হবে। শুধু স্কুলে নয়, হাসপাতালে, ক্লিনিকে এবং যেখানে টিকাকেন্দ্র রয়েছে সেখানেও এই টিকা দেওয়া যাবে। মানিকগঞ্জে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭২ হাজার টিকা দেওয়া হবে এবং ঢাকা বিভাগে ২৩ লাখ টিকা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এক কোটি ২৫ লাখের বেশি জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ টিকা দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে এই টিকা কর্যক্রম এক মাস চলবে। তবে টিকা সামনে আরও আসবে, তখন পর্যায়ক্রমে সারাদেশে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
অনুষ্ঠানে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম আল খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মহীউদ্দিন, পৌর মেয়র রমজান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জ্যোতিশ্বর পালসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।