বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্যের ডাক
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন : সরকারবিরোধী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এক দফার আন্দোলনে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে সমন্বিতভাবে লড়াই করতে হবে। তাহলে আমরা যে চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য কাজ করছি, সেই আন্দোলনে বিজয় অর্জিত হবে। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। ফ্যাসিবাদী শক্তি সমস্ত জাতির ওপর চেপে বসে আছে। আমাদের সব আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো ব্যর্থ করে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেছি। রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে বিএনপির উদ্যোগে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ইফতারে অংশ নেন বিরোধী অন্তত ৬৫টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কোনো জালিমের রক্তচক্ষুর কাছে আমরা মাথানত করব না। তাই কোনো ভেদাভেদ নয়, বিভেদ নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। বিজয় আমাদের হবেই। গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ লড়াইয়ে জিততে হবে। সেজন্য আরও গুছিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই অব্যাহত থাকবে। ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই। তাই আন্দোলনের মাধ্যমেই এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরাতে হবে।
আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, গণফোরাম একাংশের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, এবি পার্টির আহবায়ক এবিএম সোলায়মান চৌধুরী, বিকল্প ধারার অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতা জাগপা একাংশের সভাপতি লুৎফুর রহমান ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন চৌধুরী ।
ইফতারে আরও অংশ নেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, আব্দুল হাই শিকদার, সাহেদা রফিক, বিজন কান্তি সরকার, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জহির উদ্দিন স্বপন, ডা. রফিকুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দিন নসু, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, মুনির হোসেন, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, তাঁতি দলের আবুল কালাম আজাদ, যুবদলের আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ওলামা দলের মাওলানা শাহ নেছারুল হক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, জামায়াতের মাওলানা আব্দুল হালিম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ১২ দলীয় জোটের আহসান হাবিব লিংকন, নওয়াব আলী আব্বাস খান, সৈয়দ এহসানুল হুদা, রাশেদ প্রধান, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির লায়ন ফারুক রহমান, জমিয়তের মহিউদ্দিন ইকরাম, কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ এলডিপির মো. ফরিদ উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, কারী আবু তাহের, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এসএম শাহাদাত, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের আবুল কালাম আজাদ, ডা. শামসুল আলম, এনডিএমের ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান, অপরাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ফাতিমা তাসনিম, হাসান আল মামুন, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে ছিলেন- অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সাংবাদিক কামাল উদ্দিন সবুজ, কাদের গনি চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, খুরশিদ আলম, ড্যাবের ডা. আব্দুস সালাম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।