ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন পর্যন্ত রাজপথে থাকবো: সেলিমা রহমান
তিনি বলেন, আজকে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন বিএনপিকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে। তিনি এই কথা বলার কে? তিনি তো ভোটারবিহীন নির্বাচনে একজন মন্ত্রী। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, আজকে দেশের জনগণ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। মানবাধিকার লংঘনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ নাম্বার ওয়ান। আমরা রাজপথে আছি রাজপথে থাকবো। মিছিলে মিছিলে বাংলাদেশ ভরে দিবো। তবুও আমরা এই সরকারের নির্বাচন মানবোনা।
তিনি বলেন, আজকে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন বিএনপিকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে। তিনি এই কথা বলার কে? তিনি তো ভোটারবিহীন নির্বাচনে একজন মন্ত্রী। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিমা রহমান বলেন, গত ২৮ অক্টোবরের পর আমাদের প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। অনেক ভাই ও বোনেরা ঘরে ঘুমাতে পারেনা। ছেলেকে না পেলে মাকে, ভাইকে, বোন কিংবা বাবাকে নিয়ে যাচ্ছে। অনেককে ধরে নিয়ে যায় এবং মুক্তিপণ দাবি করে। এটা একটা ডাইনি সরকার। তারা নিজেরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের মহাসমাবেশে হামলা করে পন্ড করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের ন্যায্য অধিকার দেওয়া হচ্ছেনা। আজকে দেশের বিচার বিভাগ চলছে একজনের নির্দেশে। বিশ্বের কোথাও বাংলাদেশের মতো মানবাধিকার লংঘন নেই। সরকার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ অনেকগুলো কার্যালয় বন্ধ করে রেখেছে।
সেলিমা রহমান আরও বলেন, বর্তমান লোভী ও ফ্যাসিস্ট সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দী রেখে তিলে তিলে মারতে চায়। আমরা সকল জনগণকে বলবো- এই সরকারকে না বলুন। আপানারা দোকানপাট বন্ধ রাখুন। বিদেশ ভ্রমন বাদ দিন। বিয়ে শাদীর কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করুন। দেশে নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। পেয়াজের কেজি কতো? এভাবে বেশিদিন চলবেনা। আজকে ডান বাম সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। অতি শিগগিরই বাংলাদেশের জনগণ বর্তমান আওয়ামী সরকারের পতন ঘটাবে।
ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার ক্রমাগতভাবে মানবাধিকার লংঘন করে যাচ্ছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং আমরা মাঠে থাকবো।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, কারাগারে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়াবহ নির্যাতন করা হচ্ছে। আধুনিক বিশ্বে মানবাধিকার লংঘনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্তমান শাসন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে। এভাবে বেশিদিন চলতে পারেনা। গুম, খুন ও হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভুলুণ্ঠিত করা হয়েছে। আজকে দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার নেই। নিম্ন আদালতে রায় পড়ে শোনানো হচ্ছে। মৃত ব্যাক্তিকেও সাজা দেওয়া হচ্ছে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, বিএনপির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বর্তমান সভাপতি আফরোজা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ আলী, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, নাজিম উদ্দিন আলম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, রেহানা আক্তার রানু, এ্যাবের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হাছিন আহমেদ, সহসভাপতি প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার সহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।