ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত বিচারের দাবি

প্রথম নিউজ, অনলাইন: ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে সার্বভৌমত্ব আন্দোলন।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এ সময় ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া না হলে দলটির পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সার্বভৌমত্ব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠক শামীম রেজা।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনে যখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সরব হয়ে উঠেছিল, ঠিক তখনই ১৫ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত ছাত্রদের আন্দোলন বানচাল করতে ও ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে দফায় দফায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে সিসিটিভি ফুটেজের তথ্য গায়েবসহ আবাসন হলগুলোতে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে আবাসন ব্যবস্থার পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টা চালানো হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার যখন বারবার চেষ্টা করার পরেও বিপ্লবী ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হল ছাড়তে বাধ্য করতে পারেনি ঠিক তখনই শেখ হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে তৎকালীন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র বিদ্যুৎ সচিব, বাপবিবোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান, বাপবিবোর্ডের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও ঢাকা পবিস ৩ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার কূটকৌশল আটেন ও গভীর রাতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের ছত্রভঙ্গ করার ষড়যন্ত্র করেন। এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেন সাভার ও জাবি ছাত্রলীগকর্মী এবং বাপবিবোর্ডের উচ্চপদস্থ কিছু কর্মকর্তা।
’
শামীম রেজা বলেন, ‘দেশে যখন সব শিক্ষার্থী প্রাপ্য দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় নেমে এসেছিলেন তখন আসামিরা তাদের দমনের জন্য দেশবিরোধী নীলনকশা প্রণয়ন করেছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিগত দিনে শেখ হাসিনার যে কাঠামো সেটা এখনো বিদ্যমান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও সাভার-আশুলিয়া এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব চালাতে যারা সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে তারা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। এদের যদি আইনের আওতায় না আনা হয় তবে এরা আরো বেশি অপরাধ করবে।