প্রধানমন্ত্রী ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন আজ
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে- সকাল ১১টার দিকে ভার্চ্যুয়ালি দ্বিতীয় পর্বে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন তিনি।
প্রথম নিউজ, অনলাইন : সারা দেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে- সকাল ১১টার দিকে ভার্চ্যুয়ালি দ্বিতীয় পর্বে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন তিনি। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এম ফরিদুল হক খান বলেন, ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সারা দেশে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার নির্মাণ করে বিশ্ব ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মসজিদগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ অজু ও নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে।
এ ছাড়াও থাকবে হজ গমনে ইচ্ছুকদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের আগের আনুষ্ঠানিকতা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামী সাংস্কৃতিক সম্মেলন কক্ষ। কার্যক্রম এবং ইসলামী দাওয়াত, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, মসজিদের সঙ্গে দেশি ও বিদেশি অতিথিদের জন্য একটি বোর্ডিং সুবিধা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্মীয় ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে ইসলামের সত্য বাণী প্রচারের লক্ষ্যে এর আগে ২০২১ সালের ১০ই জুন সারা দেশে একযোগে মোট ৫৬৪টির মধ্যে ৫০টি মডেল মসজিদের প্রথম ধাপের উদ্বোধন করেন। ইসলামী ভ্রাতৃত্ব এবং এর মূল্যবোধের প্রচার এবং সেই সঙ্গে চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের সারমর্ম প্রচারের লক্ষ্যে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। কেননা, ধর্ম কখনই এগুলোকে সমর্থন করে না।
এর মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা- প্রচারের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি হবে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৬৪টি জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় লিফট সুবিধা এবং ২,৩৬০.০৯ বর্গমিটারের ফ্লোর স্পেসসহ প্রায় ৬৯টি চারতলা মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে প্রতিটি ১৬৮০.১৪ বর্গমিটার ফ্লোর স্পেস দিয়ে ৪৭৫টি মসজিদ তৈরি করা হচ্ছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ‘সি’ ক্যাটাগরির অধীনে ১৬টি মসজিদের প্রতিটি ২,০৫২.১২ বর্গমিটার মেঝের স্পেস থাকবে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো যেসব এলাকায় রয়েছে- ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নগরকান্দা, গাজীপুরের কাপাসিয়া, গোপালগঞ্জের সদর উপজেলা, কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলা, কটিয়াদী, মানিকগঞ্জের ঘিওর, সাটুরিয়া, নরসিংদীর সদর উপজেলা, মনোহরদি, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা, জেলা সদর, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা, বগুড়ার ধুনট উপজেলা, নন্দীগ্রাম, নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা, চাঁপাই নবাবগঞ্জের সদর উপজেলা, পাবনার ভাঙ্গুরা, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া, ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলা, শেরপুরের সদর উপজেলা, পিরোজপুরের সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর ও কসবা, খাগড়াছড়ির সদর উপজেলা ও মানিকছড়ি, কুমিল্লার চান্দিনা ও চৌদ্দগ্রাম, খুলনার রূপসা, কুষ্টিয়ার খোকশা ও ভেড়ামারা, মেহেরপুর জেলা সদর ও গাংনী, সাতক্ষীরার দেবহাটা, সিলেটের গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জ জেলা সদর এবং জগন্নাথপুর, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: