নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন নয় আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নেয়া হবে

ভারতের হাইকমিশনারকে বিএনপি

নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন নয় আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নেয়া হবে
নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন নয় আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নেয়া হবে

প্রথম নিউজ, অনলাইন: নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার দলীয় সিদ্ধান্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানিয়েছে বিএনপি। কিভাবে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার বিস্তারিত জানিয়ে দলটির নেতারা হাইকমিশনারকে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে। তাদের আন্দোলনে জনগণের সমর্থন রয়েছে। এ আন্দোলন ধীরে ধীরে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার আমন্ত্রণে গত রাতে তার বারিধারার বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির পাঁচ নেতা। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা তারা সেখানে ছিলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে নৈশভোজে যাওয়া অন্য নেতারা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম।

জানা গেছে, নৈশভোজের পাশাপাশি চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনার বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে নেতারা তা বিস্তারিত তুলে ধরেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির নেতারা বলেন, ২০১৪ সালে ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হয়েছে। বিএনপি দলীয় সরকারের অধীনে প্রহসনের সেই নির্বাচন বয়কট করেছে। তারা বলেন, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমরা সংলাপে বসে ছিলাম। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন কোনো মামলা-হামলা হবে না। কিন্তু সংলাপের পরদিন থেকেই মামলা-হামলা শুরু হয়। আমাদের প্রার্থীদের নির্বাচনের মাঠেই নামতে দেয়া হয়নি। শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে অনেককে। সিনিয়র নেতারাও আক্রমণ থেকে রক্ষা পাননি। আর নির্বাচন তারা আগের রাতেই করে ফেলেছে।

হাইকমিশনার আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি জানায়, আন্দোলন চলছে। তাদের আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ মাঠে নেমেছে। ১০ বিভাগে সরকারের সব বাধা পেরিয়ে লাখ লাখ মানুষ তাদের সমাবেশে অংশ নিয়েছে। ঢাকায় দলের মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫০০ নেতাকে গ্রেফতার করা হলেও বিশাল গণসমাবেশ হয়েছে। আন্দোলন কতদিন চলবে হাইকমিশনারের এমন প্রশ্নে বিএনপির নেতারা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ভারতের সাথে বিএনপির সম্পর্কের অবনতি কেন হয়েছে জানতে চাইলে বিএনপির নেতারা বলেছেন, বিএনপি সবসময়ই ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী। কিন্তু ১০ ট্রাক অস্ত্র চালানের সাথে বিএনপিকে দায়ী করা হয়, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিএনপি সরকার এ ঘটনার সাথে জড়িত ধাকলে পুলিশ তখন কিভাবে সেই চালান আটক করেছে। এখন অনুপ চেটিয়া যেসব বানোয়াট কথা বলছেন, তা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বলছেন।

বিএনপির নেতারা এ সময় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিষয়ে তুলে ধরে জানান, এক-এগারোর সরকারের সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কারাগারে নির্যাতনে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: