ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে চীন: শি চিনপিং
রবিবার ঢাকায় চীন দূতাবাস থেকে ওই বার্তা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানাণো হয়।
প্রথম নিউজ ডেস্ক: চীন-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদকে পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই) বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন গতি এনেছে।
গতকাল রবিবার ঢাকায় চীন দূতাবাস থেকে ওই বার্তা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানাণো হয়। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এবং স্টেট কাউন্সেলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে আলাদাভাবে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০১৬ সালে চীনের বিআরআই উদ্যোগে যোগ দেয়। সে বছরই বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে স্ট্র্যাটেজিক মাত্রায় উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিল।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং লিখেছেন, বাংলাদেশ সরকার কভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্রিয় উদ্যোগ নিয়েছে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্জনগুলো দেখে চীন অত্যন্ত আনন্দিত।
চীন ও বাংলাদেশকে কাছের প্রতিবেশী, ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধু ও স্ট্র্যাটেজিক অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন শি চিনপিং। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের’ আওতায় আমাদের সহযোগিতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন গতি এনেছে এবং আমাদের জনগণের জন্য মঙ্গল বয়ে আনছে।
চীনা প্রিমিয়ার লি খ্য ছিয়াং বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও বাংলাদেশের কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারি সম্পর্কের সুষ্ঠু উন্নয়ন হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ফলপ্রসূ হয়েছে। লি খ্য ছিয়াং চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ওপর অনেক গুরুত্ব দেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দু’দেশের উন্নয়ন কৌশলের সংযুক্তি জোরদার করতে, যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের’ উচ্চ মানের উন্নয়ন এগিয়ে নিতে এবং দু’দেশ ও দু’দেশের জনগণের কল্যাণ সৃষ্টি করতে চান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় ওয়াং ই বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। সক্রিয়ভাবে বিশ্বের বহুপক্ষীয় বিষয়ে অংশ নিয়েছে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিতে শক্তি যুগিয়েছে। প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে চীন এতে আনন্দিত। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্ব দেয়।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews