ডেঙ্গুতে আরও ১৩ জনের প্রাণ গেল, হাসপাতালে ১৬৭৩ নতুন রোগী

আজ সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

ডেঙ্গুতে আরও ১৩ জনের প্রাণ গেল, হাসপাতালে ১৬৭৩ নতুন রোগী

প্রথম নিউজ, অনলাইন: ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।  দেশে  এই নিয়ে ডেঙ্গুতে এবছরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৪৮ জনে। অক্টোবর মাসেও ডেঙ্গুর দাপট চলছে। চলতি মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ১৫৯ জন। একদিনে আরও ১ হাজার ৬৭৩ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। দেশে ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগী মৃত্যু ও শনাক্তে পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর চেয়ে দ্বিগুণের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে গ্রামে। মৃত্যুও বেশি গ্রামে। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ২ লাখ ৩৫ হাজার ২০৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ৯১ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৪৪ হাজার ১৯৬ জন। মৃত ১ হাজার ১৪৮ জনের মধ্যে নারী ৬৫১ জন এবং পুরুষ ৪৯৭ জন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৪৩১ জন এবং রাজধানীতে ৭১৭ জন। 

আজ সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৬৭৩ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪৭৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ১৯৫ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ১ হাজার ৬৭৩ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৪৮ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২ হাজার ৫৩৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫ হাজার ৭১০ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ২ লাখ ৩৫ হাজার ২০৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ১ লাখ ৪২ হাজার ১০০ জন এবং নারী ৯৩ হাজার ১০৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ২৫ হাজার ৮০৮ জন।

অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাইতে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন শনাক্ত এবং প্রাণহানি ৩৪২ জন। সেপ্টেম্বরে শনাক্ত রোগী ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৯৬ জন। অক্টোবরের ১৩ দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৭৯৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১৫৯ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। বর্তমান রোগীর চেয়ে আরও ১০ গুণ বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।