চলাচলের রাস্তায় টিনের বেড়া, দুদিন ধরে অবরুদ্ধ তিন পরিবার

বিকল্প স্থান দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবিতে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। তাদের দাবি, তারা রাস্তাটি ৩৫ বছর ধরে ব্যবহার করে আসছেন।

চলাচলের রাস্তায় টিনের বেড়া, দুদিন ধরে অবরুদ্ধ তিন পরিবার

প্রথম নিউজ, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে একটি বাড়ির রাস্তায় টিনের বেড়া দিয়ে তিন পরিবারকে দুদিন ধরে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বিকল্প স্থান দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবিতে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। তাদের দাবি, তারা রাস্তাটি ৩৫ বছর ধরে ব্যবহার করে আসছেন।

প্রতিবেশী রেদোয়ান ভূঁইয়া রানা নিজের জমি দাবি করে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) ওই রাস্তার মুখে টিনের বেড়া দিয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। তিনি বাঞ্চানগর এলাকার মৃত সুজায়েত উল্লাহ ভূঁইয়ার ছেলে। ভুক্তভোগীরা হলেন মালবাহী লেগুনা চালক আজিজুর রহমান, প্রতিবেশী মনোয়ারা খানম ও মো. হানিফ আরজু। তারা বাঞ্চানগর এলাকার বাসিন্দা।

অভিযোগ সূত্রে জানায়, ভুক্তভোগীরা ৩৫ বছর ধরে চলাচলের জন্য রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছেন। বুধবার হঠাৎ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রানা রাস্তার মুখে টিনের বেড়া দেন। রাতে কাজ থেকে ফিরে আজিজ টিনের বেড়ার কারণে বাড়িতে ঢুকতে পারেননি। পরে স্থানীয়দের পরামর্শে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশ লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেয়।

ভুক্তভোগী আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা ৩৫ বছর ধরে রাস্তাটি ব্যবহার করছি। হঠাৎ রানা নিজের জমি দাবি করে টিন দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। কাজ থেকে ফিরে আমি বাড়িতে ঢুকতে পারিনি। পরে অনেক কষ্টে ঢুকেছি। তিনি বলেন, ‘রাস্তাটি বন্ধ থাকায় আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। আমরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠাতে পারছি না। রাস্তাটি আমি ইট দিয়ে সংস্কার করেছিলাম।’

জানতে চাইলে রেদোয়ান ভূঁইয়া রানা বলেন, ‘অনেক বছর দয়া দেখিয়ে তাদের হাঁটার জন্য জমিটি উন্মুক্ত রেখেছি। এখন আর সুযোগ দেওয়া সম্ভব না। আমার জমিতে আমি টিনের বেড়া দিয়েছি। শহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল আলম বলেন, ‘৯৯৯-এ কল পেয়ে আমরা দুবার ঘটনাস্থল গিয়েছি। কিন্তু কোনোভাবেই রানা টিনের বেড়া সরিয়ে নিতে রাজি হচ্ছেন না। এ বিষয়ে আদালত বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন।’

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ওদুদকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom