গাছ কাটা মেয়র তাপসের অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত ছিল: রিজওয়ানা হাসান
আজ রোববার (২১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএসসিসির নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার মুখে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: রাজধানীর ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডে গাছ কাটা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আজ রোববার (২১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএসসিসির নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার মুখে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডি সাতমসজিদ রোডের গাছ কাটার প্রতিবাদে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবন ঘেরাও করতে যায় সাতমসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলনের সদস্যরা। তখন তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এর প্রতিবাদে বঙ্গবাজার সংলগ্ন এনেক্সকো টাওয়ার এালাকায় অবস্থান নেন সাতমসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলনের সদস্যরা। বেলা পৌনে একটা পর্যন্ত তারা সড়কে অবস্থান নেন। পরে তাদের একটি প্রতিনিধি দল নগর ভবনে যান। তখন তারা সড়ক ছেড়ে দেন।
এর আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, মেয়র কেন আমাদের যৌক্তিক কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছেন তা জানি না। তাকে মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা আমাদের কাজ না। তবে আমরা যেটা বুঝি জবাবদিহিতার জায়গা থেকে তিনি জনগণের মুখোমুখি হতে চান না। তিনি বলেন, যদিও তিনি গণমাধ্যমে বলেছেন গাছ কাটার পর সাতমসজিদ রোডে যানচলাচলের গতি অনেক বেড়ে গেছে। আমার মনে হয় তার সিদ্ধান্তটা অত্যন্ত অজনপ্রিয়। সেটাও তিনি বুঝেছেন। সেজন্য তিনি আমাদের কেমন করে মুখোমুখি হবেন তার কাছে তো কোনো যুক্তি নেই।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, মেয়র শেখ তাপসের উচিত ছিল প্রথমেই আমাদের মুখোমুখি হওয়ার। তার সিদ্ধান্তটা কেন যৌক্তিক, আর আমাদের সিদ্ধান্তগুলোই কেন অযৌক্তিক তা দেখার দরকার ছিল। কিন্তু তিনি কোনো আগ্রহ দেখেননি। আজ আমরা ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছি বলে আমাদের প্রতিনিধি দলকে নগর ভবনে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু তার আগে আমরা নগর ভবনে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তখন তারা আমাদের ঢুকতে দেয়নি।
উন্নয়নের দোহাই দিয়ে সারাদেশে এবং ঢাকায় নির্বিচারে প্রাণ-প্রকৃতি, পরিবেশ এবং বৃক্ষ হত্যা করা হচ্ছে জানিয়ে গতকাল শনিবার ধানমন্ডি আবাহনী মাঠের সামনের চত্বরে ‘গাছের জন্য নগর ভবন ঘেরাও’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন করে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়কারী আমিরুল রাজিব। সংবাদ সম্মেলনে চার দফা দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো– ধানমন্ডি সাতমসজিদ সড়কসহ ঢাকার পাবলিক পরিসরে উন্নয়নের নামে যখন-তখন গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। কাটা গাছের স্থানে বৈচিত্র্যময় দেশীয় প্রজাতির গাছের চারা লাগাতে হবে। জনগণের করের টাকায় লাগানো গাছ কেটে নতুন প্রকল্প গ্রহণের নামে বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে এবং নগর উন্নয়নে প্রকৃতিভিত্তিক পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিয়ে বৃক্ষ ও নগরবান্ধব নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে।