কিশোরগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় পুলিশ কনস্টেবল কারাগারে

চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরে রুবেলের বাবা মেয়ের সুখের জন্য তিন লাখ টাকা দাবি করেন। চুক্তিপত্র শেষে নগদ দেড় লাখ টাকাও নেয় তারা। 

কিশোরগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় পুলিশ কনস্টেবল কারাগারে

প্রথম নিউজ, কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় রুবেল মিয়া (২৩) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আত্মসমর্পণ করলে বিচারক কিরণ শংকর হালদার তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে আইনজীবী অ্যাডভোকেট অশোক সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কনস্টেবল রুবেল কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনের ঢাকী ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের রহিছ মিয়ার ছেলে। রুবেল ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি কনস্টেবল পদে পুলিশে যোগদান করেন। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দক্ষিণে কর্মরত বলে জানা গেছে।

মামলার বাদী ওই কিশোরী জানায়, রুবেল এবং সে পরস্পরের আত্মীয়। সেই সুবাদে রুবেলের সঙ্গে মাঝেমধ্যে কথাবার্তা হতো। স্কুল থেকে আসা-যাওয়ার পথে তাকে প্রায়ই উক্ত্যক্ত করতেন রুবেল। বিষয়টি সে তার বাবাকে জানায়। তার বাবা রুবেলকে নিষেধ করেন। 

এক পর্যায়ে রুবেলের বাবা স্থানীয় মুরুব্বিদের নিয়ে তার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মেয়ের বয়স ১৮ পূর্ণ না হওয়ায় বিয়েতে রাজি হয়নি তার পরিবার। সে সময় পরিবার ও এলাকার মুরুব্বি ও তাদের আত্মীয়স্বজন বসে মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলেই তাদের মধ্যে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকে রুবেল তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করেন।

ওই কিশোরী আরও জানায়, গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রুবেল তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে তাদের বাড়িরই একটি কক্ষে থেকে যায়। রাত ১০টার দিকে জরুরি কথা আছে বলে তাকে সেই কক্ষে ডেকে নেয় রুবেল। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্পের এক পর্যায়ে তাকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেন। 

পরের দিন সকালে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে যায় রুবেল। তারপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। কিছু দিন পর তারা জানতে পারে, রুবেল করিমগঞ্জ উপজেলার এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। এই ঘটনায় কিশোরী বাদী হয়ে গত বছরের ৪ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে রুবেলকে আসামি করে একটি ধর্ষণের মামলা করে।

ওই কিশোরীর বাবা বলেন, মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাদের মধ্যে বিয়ে হবে এই বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তি হয় দুই পরিবারে মধ্যে। চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরে রুবেলের বাবা মেয়ের সুখের জন্য তিন লাখ টাকা দাবি করেন। চুক্তিপত্র শেষে নগদ দেড় লাখ টাকাও নেয় তারা। 

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom