কালীগঞ্জবাসী ধৈর্য ধারণ করুন: ডরিন

 কালীগঞ্জবাসী ধৈর্য ধারণ করুন: ডরিন

প্রথম নিউজ, ঢাকা : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডে ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

শুক্রবার (২৪ মে) সকাল ১০টার দিকে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ স্ট্যাটাস দেন তিনি।

স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আজ আমার পিতা হারানো শোক। আমার এই শোকের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ঝিনাইদহ ০৪ নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগনের যে আহাজারি এবং আমাদের পরিবারের পাশে আপনারা যেভাবে দাঁড়িয়েছেন তখন আমার একটা কথাই মনে হয় জনগণের এমপি হিসেবে আমার পিতা ব্যর্থ ছিলেন না।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করেছিল এক সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে তিনি যখন নিজেকে গণমানুষের পক্ষের রাজনীতির জন্য প্রস্তুত করা শুরু করেন তখন থেকেই তাঁর বিরোধিতা শুরু হয়।

ডরিন লেখেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আমার পিতা কালীগঞ্জের মানুষের জন্য যে কাজ করে গেছেন আপনাদের কান্না, আহাজারি সেটাই তার প্রমাণ করে।

এতে যদি আমার পিতার মত আমার জীবন ঘাতকেরা কেড়ে নেয় তাতেও আমি পিছপা হবো না।

আমার পিতা যেভাবে কালীগঞ্জের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাটিতে পরিণত করেছেন এটা আমি বৃথা যেতে দেব না।

এমপি কন্যা তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন, আপনারা ইতোমধ্যে অবগত আছেন আমার পিতার হত্যাকারীদের মধ্যে একজনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী উপজেলায়। রাগের বশবর্তী হয়ে সেখানে কোন হামলা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না।

তিনি আরও লিখেছেন, প্রিয় কালীগঞ্জবাসী ধৈর্য ধারণ করুন। কথা দিচ্ছি দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বসে আপনাদের ইচ্ছা অনুযায়ী মানববন্ধন বা আপনার যেটা চান আমি সেটাই করব। কিন্তু দয়া করে কেউ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাবেন না।

ডরিন লিখেছেন, আমার অভিভাবক একমাত্র আশ্রয়স্থল বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আমার কথা হয়েছে, উনি এর সুষ্ঠু বিচার করবেন।

নিখোঁজের আট দিন পর বুধবার (২২ মে) জানা যায়, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুন করা হয়েছে। ভারতে চিকিৎসার জন্য যাওয়া বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্যকে ভারতে কেন হত্যা করা হবে তা নিয়ে দানা বাঁধে নানান সন্দেহ।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজীম।